রংপুর মহানগরীর বনানীপাড়ার এক বাড়ি থেকে মঙ্গলবার তাদের আটক করে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানা পুলিশ। এরপর গভীর রাতে ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়।
রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সম্পাদিকা রোমানা জামান জানান, ওই তরুণী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানান, তার সঙ্গে এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নীলফামারীর আমজাদ হোসেনের ছেলে এএসপি কামরুল হাসানের। এরপর ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। মঙ্গলবার তার সঙ্গে দেখা করতে এলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কামরুল হাসানকে আটক করেন। পরে রংপুর কোতোয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদ উভয়কে রংপুর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে আসেন। সেখানে গভীর রাতে ৫১ লাখ এক হাজার ৫৩ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে তাদের বিয়ে হয়।
মেট্রো কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে অভিযানে নামে। এরপর এএসপি কামরুল হাসানকে নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের বনানী পাড়ার এক বাড়ি থেকে নারীসহ আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যায় তারা স্বামী-স্ত্রী। তারপর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে মহিলা পরিষদের নেত্রী রোমানা জামান জানান, পুলিশের মধ্যস্থতায় বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের ছাড়া হয়।
রোমানা আরও জানান, ট্রেনিং শেষে ১২ দিনের ছুটি কাটাতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা মঙ্গলবার বনানীপাড়ার ওই বাসায় আসেন। এরপর তার কর্মস্থলে যোগ দেয়ার কথা ছিল তার। এ সময় বাসায় পুনরায় মেয়েটি তাকে বিয়ের কথা বললে ছয় মাস পর বিয়ে করার কথা জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে মেয়েটি ঘরের বাইরে তালা লাগিয়ে আমাদের খবর দেয়। তিনি জানান, এরপর বিভিন্নভাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা থানা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়েটি বিয়ের দাবিতে অনড় থাকায় অবশেষে পুলিশ কর্মকর্তা বিয়েতে সম্মত হন। এরপর পুলিশের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার রাত ৩টায় হোটেল তিলোত্তমায় বিয়ে হয়।তবে কাবিননামায় ২১ অক্টোবরের তারিখে রেজিস্ট্রি করানো হয়।