এছাড়া রায়ে দুইজনের এক বছর করে কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেওয়া হয়। সোমবার সকালে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল এই আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ীর হাজী সাইদুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মোজাম্মেল হক ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া, এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, একই গ্রামের মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মহুবের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলিপ, একই গ্রামের পরেশ সন্যাসীর ছেলে বিধান সন্যাসী, সিকরিত ভূঁইয়ার স্ত্রী সুলতানা আক্তার এবং একই থানাধীন মইতপুরের কাজী জজ মিয়ার স্ত্রী নিলুফা আক্তার।
এক বছর করে দণ্ড পাওয়া দুইজন হলেন- একই থানার নবুরিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুল এবং তাসলিমা আক্তার।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রস্তুমপুর সবুজ ভূঁইয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন ওরফে ফালুকে খালাস দেওয়া হয়।
নিহত মোবারক হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ীর ইশাদ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবীর ক্লার্ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দণ্ডপ্রাপ্তরা মোবারক হোসেনের পেটে বল্লম দিয়ে আঘাত করেন। এতে মারা যান মোবরাক। পরদিন মোবারকের ছোট ভাই ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলার তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ১৭ ডিসেম্বর একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল চার্জশিটের ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামিদের মধ্যে আট জন কারাগারে, একজন জামিনে ও বাকিরা পলাতক আছেন।