আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মাদক পাচারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজের ভাই টনি হার্নান্দেজ। দুই সপ্তাহের বিচার শেষে শুক্রবার ম্যানহাটনের একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। আগামী ১৭ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হতে পারে। এতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে তার। টনির বিরুদ্ধে ভাইয়ের প্রভাব ব্যবহারের অভিযোগ থাকলেও তা অস্বীকার করেছেন হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট।২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মিয়ামিতে গ্রেফতার হয় ৪১ বছর বয়সী টনি হার্নান্দেজ। তার বিরুদ্ধে মাদক পাচার ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা তাকে ভাইয়ের সুরক্ষা ব্যবহার করে প্রায় ২২০ টন কোকেইন পাচারে সাহায্য করায় অভিযুক্ত করে। তবে এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজ।
এক টুইট বার্তায় হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন ‘গভীর দুঃখের’ সঙ্গে তিনি ভাইয়ের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার খবর পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করা সাবেক মাদক পাচারকারীদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি লেখেন, ‘স্বীকৃত খুনিদের স্বাক্ষ্যের ভিত্তিতে তার ভাইকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে’।
টনি হার্নান্দেজের বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে সহায়তা দেয় সাবেক মেয়র আমিলকার আলেক্সান্ডার আরডন ও সাবেক গ্যাং সদস্য দেভিজ ড্যানিয়েল রিভেরা মারাদিয়াগা। এদের দু্জনেই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে দেওয়া স্বাক্ষ্যে আলেক্সান্ডার আরডন জানিয়েছিলেন, মেক্সিকোর মাদক কারবারি এল চাপোকে চালান নিতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে ২০১৩ সালে ভাইয়ের নির্বাচনি প্রচারণার জন্য দশ লাখ ডলার নিয়েছিলো টনি হার্নান্দেজ। আর রিভেরা মাদারিয়েগা ৭৮ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
তবে এসব স্বাক্ষ্যে বিশ্বাস না করতে বিচারকদের অনুরোধ জানান হার্নান্দেজের আইনজীবীরা। তাদেরকে পেশাদার অপরাধী বলে দাবি করেন আইনজীবীরা। শাস্তি কমাতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।