দেশজনতা অনলাইনঃ ইন্টারনেট সেবা খাতে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) নিয়ে জটিলতা কাটছেই না। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো একটি এসআরও (পরিপত্র) জারির অপেক্ষায় রয়েছে। এসআরও জারি হলে ‘১৫ শতাংশ’ না ‘৫ শতাংশ’— এ সংক্রান্ত ভ্যাট জটিলতার অবসান হবে। ইন্টারনেট সেবার আইএসপিএবি (ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কোম্পানি), এনটিটিএন (ব্যান্ডউইথ পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলো) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টরা সব ক্ষেত্রে (লেয়ারে) ভ্যাট ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন। এই দাবি বাস্তবায়িত হলে নিরসন হবে সব ধরনের জটিলতার।
সরকার ইন্টারনেট সেবা খাতে ভ্যাট ৫ শতাংশ করে দিলেও এনটিটিএনতে তা রয়েছে ১৫ শতাংশ। ফলে সরাসরি ‘লাস্ট মাইল সলিউশন’দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো (আইএসপি) গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট নিলেও ব্যান্ডউইথ কেন ও পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছে না। আইএসপিগুলো বলছে, তারা গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট নিয়ে তাদের ১৫ শতাংশ কেন দেবে? এদিকে, এনটিটিএনগুলো বলছে, আইএসপিগুলো তাদের ৫ শতাংশের বেশি ভ্যাট দিতে চায় না। ফলে তারাও আইএসপিগুলোর কাছ থেকে বিলও নিতে পারছে না। নিলে ১০ শতাংশ কম ভ্যাটে বিল নিতে হবে। এই ঘাটতি তারা কীভাবে পোষাবে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা ইন্টারনেট সেবার সব লেয়ারে ৫ শতাংশ ভ্যাট চাই। আমরা চাই আগের আইনে ফেরত যেতে। এটা করতে হলে এসআরও জারি করেই যাওয়া সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সরাসরি সেবা দেই। তাদের কাছ থেকে আমরা ৫ শতাংশ ভ্যাট নেই। আর সেভাবেই আমরা প্যাকেজ তৈরি করেছি। এখন ৫ শতাংশ ভ্যাট নিয়ে আমরা কেন ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেবো? তাহলে তো আমাদের ‘কস্ট অব প্রোডাক্ট’ বেড়ে যাবে।’’
ইমদাদুল হক প্রশ্ন করেন, ‘আমরা একবার ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে কি আবার বাড়াতে পারবো? গ্রাহকরা কি এটা মেনে নেবেন?’ তারা আশা করেন, শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে। ভ্যাট ৫ শতাংশ করে যেকোনও সময় এসআরও জারি করা হতে পারে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট ৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে এনটিটিএন (ব্যান্ডউইথ পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য ও সেবা বিক্রিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। যদিও এ বছরের ১৯ জানুয়ারি এনবিআর ইন্টারনেটের সব ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারারণ করে এসআরও জারি করে। কিন্তু বাজেটে শুধু ইন্টারনেটে ভ্যাট নির্ধারণ করা হয় ৫ শতাংশ এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য শাখায় ১৫ শতাংশ করা হয়। ফলে এখন এনটিটিএন ও আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করলে তা দিচ্ছে না আইএসপিগুলো। মূলত, এটা নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে এই বিষয়ে ‘ডিও লেটার’ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।এদিকে, আইএপিএবি গত ২৯ আগস্ট অর্থমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠিতে ইন্টারনেট সেবায় ৫ শতাংশ এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য শাখায় (আইটিসি, এনটিটিএন ও আইআইজি) ১৫ শতাংশ ভ্যাট হওয়ায় যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা মূল্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।এরই মধ্যে কোথাও কোথাও তা বেড়েছে বলেও জানানো হয় চিঠিতে।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিটিএন-এর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এসআরও জারির অপেক্ষায় আছি। গত মাসেই এটি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। এখন দেখা যাক কবে হয়।’ এসআরও জারি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিল পাচ্ছি না। ফলে বকেয়া বিলের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ১৫ শতাংশ ভ্যাট বিল করে যদি ৫ শতাংশ অফার করা হয় তাহলে তো সেই বিল নেওয়া যাবে না।’
যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেলে ‘১০ শতাংশ’ ভ্যাটের বিষয়ে তখন একটা সমাধানে আসা যাবে। ওই কর্মকর্তা বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এভাবে কাজ করলে বিষয়টি ঝুলে যাবে। সমাধানের কোনও সুযোগই থাকবে না।’ কারণ কোনও পক্ষই তখন দায় নেবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সরকার ইন্টারনেট সেবা খাতে ভ্যাট ৫ শতাংশ করে দিলেও এনটিটিএনতে তা রয়েছে ১৫ শতাংশ। ফলে সরাসরি ‘লাস্ট মাইল সলিউশন’দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো (আইএসপি) গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট নিলেও ব্যান্ডউইথ কেন ও পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছে না। আইএসপিগুলো বলছে, তারা গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট নিয়ে তাদের ১৫ শতাংশ কেন দেবে? এদিকে, এনটিটিএনগুলো বলছে, আইএসপিগুলো তাদের ৫ শতাংশের বেশি ভ্যাট দিতে চায় না। ফলে তারাও আইএসপিগুলোর কাছ থেকে বিলও নিতে পারছে না। নিলে ১০ শতাংশ কম ভ্যাটে বিল নিতে হবে। এই ঘাটতি তারা কীভাবে পোষাবে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা ইন্টারনেট সেবার সব লেয়ারে ৫ শতাংশ ভ্যাট চাই। আমরা চাই আগের আইনে ফেরত যেতে। এটা করতে হলে এসআরও জারি করেই যাওয়া সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সরাসরি সেবা দেই। তাদের কাছ থেকে আমরা ৫ শতাংশ ভ্যাট নেই। আর সেভাবেই আমরা প্যাকেজ তৈরি করেছি। এখন ৫ শতাংশ ভ্যাট নিয়ে আমরা কেন ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেবো? তাহলে তো আমাদের ‘কস্ট অব প্রোডাক্ট’ বেড়ে যাবে।’’
ইমদাদুল হক প্রশ্ন করেন, ‘আমরা একবার ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে কি আবার বাড়াতে পারবো? গ্রাহকরা কি এটা মেনে নেবেন?’ তারা আশা করেন, শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে। ভ্যাট ৫ শতাংশ করে যেকোনও সময় এসআরও জারি করা হতে পারে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট ৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে এনটিটিএন (ব্যান্ডউইথ পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য ও সেবা বিক্রিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। যদিও এ বছরের ১৯ জানুয়ারি এনবিআর ইন্টারনেটের সব ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারারণ করে এসআরও জারি করে। কিন্তু বাজেটে শুধু ইন্টারনেটে ভ্যাট নির্ধারণ করা হয় ৫ শতাংশ এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য শাখায় ১৫ শতাংশ করা হয়। ফলে এখন এনটিটিএন ও আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করলে তা দিচ্ছে না আইএসপিগুলো। মূলত, এটা নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে এই বিষয়ে ‘ডিও লেটার’ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।এদিকে, আইএপিএবি গত ২৯ আগস্ট অর্থমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠিতে ইন্টারনেট সেবায় ৫ শতাংশ এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য শাখায় (আইটিসি, এনটিটিএন ও আইআইজি) ১৫ শতাংশ ভ্যাট হওয়ায় যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা মূল্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।এরই মধ্যে কোথাও কোথাও তা বেড়েছে বলেও জানানো হয় চিঠিতে।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিটিএন-এর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এসআরও জারির অপেক্ষায় আছি। গত মাসেই এটি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। এখন দেখা যাক কবে হয়।’ এসআরও জারি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিল পাচ্ছি না। ফলে বকেয়া বিলের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ১৫ শতাংশ ভ্যাট বিল করে যদি ৫ শতাংশ অফার করা হয় তাহলে তো সেই বিল নেওয়া যাবে না।’
যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেলে ‘১০ শতাংশ’ ভ্যাটের বিষয়ে তখন একটা সমাধানে আসা যাবে। ওই কর্মকর্তা বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এভাবে কাজ করলে বিষয়টি ঝুলে যাবে। সমাধানের কোনও সুযোগই থাকবে না।’ কারণ কোনও পক্ষই তখন দায় নেবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।