এরপর তৎকালীন আইনজীবী লুৎফর রহমান শ্রী বাবু নামেই বাবলু শেখের জামিন করান। সেই থেকে বাবুল শেখ হয়ে যান শ্রী বাবু। দুই দফায় দুইমাস কারাভোগ করেন বাবলু শেখ । শুধু তাই নয় নিজের সঠিক পরিচয় প্রমাণ করতে তাকে গুণতে হয় ১৮ বছর। সুদীর্ঘ ১৮ বছর ধরে হতদরিদ্র বাবলু শেখ ঘুরে বেড়াতে হয়েছে আদালতের বারান্দায়।
অবশেষে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। অপরাধ না করেও পুলিশ ও আইনজীবীর ভুলে আসামি হয়ে দুই বছর কারাভোগসহ ১৮ বছরের ভোগান্তির অবসান হয়েছে তার।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাইফুর রহমান সিদ্দিকীর আদালত এ রায় দেন। এ ঘটনায় দায়ী তদন্তকারী দুই পুলিশ ও তৎকালীন ওসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইজিপিকে নির্দেশও দেয় আদালত এবং দায়ী আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনজীবী সমিতিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বাবলু শেখকে ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়েছে।
বাবলু শেখের বর্তমান আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম উদ্দীন জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর বাবলু শেখের আপিল শুনানির রায়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাইফুর রহমান সিদ্দিকী মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানান, বাবলু শেখের বিষয়টি আলোচিত ঘটনা হওয়ায় তা অধিক পর্যালোচনা করা হবে। ফলে বাবলু শেখের মামলার রায়ের দিনক্ষণ পিছিয়ে যায়। পরে মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালত ১৭ অক্টোবর আপিল শুনানির রায়ের দিন ধার্য করেন।