২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:০৪

মেধাবীরা ছাত্রলীগে গেলে খুনি হয়ে বের হয়: মান্না

 

মেধাবীরা ছাত্রলীগে গেলে খুনি হয়ে বের হয় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। ‘আওয়ামী লীগের এজেন্ডা মানুষকে পিটিয়ে মারা’ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একজন মেধাবী ছাত্র রাজনীতি করতে ছাত্রলীগে গেলে খুনি হয়ে বের হয়। ছাত্রলীগ মানে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করো। হত্যা করো। র‌্যাগিং করো, গণরুমে মেধাবীদের রেখে দাও।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাবেক ডাকসু নেতৃত্বের ব্যানারে ‘বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে’ আয়োজিত মানববন্ধনে মান্না এসব কথা বলেন।

এ সময় আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েটের ভিসি (উপাচার্য)সাইফুল ইসলাম জড়িত বলেও দাবি করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক। বলেন, আবরার ফাহাদকে হত্যার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জড়িত। ছাত্রলীগ ফাহাদকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিসিকে বলা হলেও তিনি হলে আসেননি। কোনো পদক্ষেপও নেননি। ছাত্রটি মারা যাওয়ার পরও আসলেন না। জানাজাতেও আসলেন না। অনেক পরে তিনি কুষ্টিয়াতে গেলেন কবর জিয়ারত করতে। তাই এই পাষণ্ড ভিসির অপসারণের দাবি জানাই।

মান্না বলেন, ‘দেশ আজ গভীর সংকটের মধ্যে আছে। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এমনটা হয়নি। আজ এমন অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আছে, যারা জনগণের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। এরা মানুষ তৈরি করতে জানে না। একটি মেধাবী ছাত্র রাজনীতি করতে ছাত্রলীগে গেলে খুনি হয়ে বের হয়। ছাত্রলীগ মানে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করো। হত্যা করো। র‌্যাগিং করো, গণরুমে মেধাবীদের রেখে দাও।’

মান্না অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের এজেন্ডা হলো মানুষকে পিটিয়ে মারা। বিরোধীদের দমন করা। বিরোধী মত প্রকাশ করলে তাদের কথা বন্ধ করে দেয়া। তারা শত কোটি টাকার ঋণের খেলাপি হয়েও নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে। আর খালেদা জিয়া মাত্র দুই কোটি টাকা একটা অ্যাকাউন্টে রেখেছেন। যা সুদ-আসল মিলে এখন আট কোটি টাকা। অথচ বিনা কারণে তাকে সাজা দেয়া হলো। জেলে রাখা হচ্ছে অসুস্থতার মধ্যেও। এমনকি জামিনযোগ্য হলেও দেয়া হচ্ছে না।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, আবরার হত্যায় জড়িত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একদিন শুনতে হবে ১৯ জনের ১৮ জন বেকসুর খালাস। আমরা বিশ্বজিৎ হত্যায় দেখেছি আসামিরা কিভাবে মাফ পেয়ে যায়। তারা এখন বলছে, ফাহাদ হত্যায় ন্যায়বিচার হবে। আমাদের ন্যায়ের প্রতীক ফাহাদ। যত বাধাই আসুক, এই প্রতীক নিয়ে আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করব।

মানববন্ধনের সভাপতি আ স ম রব বলেন, দেশের জন্য, দেশের জনগণের পক্ষে কথা বলার কারণে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লেখার মাধ্যমে প্রতিবাদ করার কারণে সরকার পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ফাহাদকে নয়, তাকে হত্যার মাধ্যমে পুরো জাতিকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার দায় স্বীকার করে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, ডাকসুর সাবেক জিএস বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, এজিএস নাজিম উদ্দিন আলমসহ ডাকসুর সাবেক নেতারা।

প্রকাশ :অক্টোবর ১৭, ২০১৯ ৪:৩২ অপরাহ্ণ