বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার আড়কান্দি এলাকার লরু প্রামানিকের ছেলে শ্যামল প্রামানিক, বাদশা আলীর ছেলে আসমত আলী মন্ডল, মিরাজ উদ্দিনের ছেলে মুকুল হোসেন এবং নিহত হানিফ আলীর স্ত্রী দোলেনা বেগম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল রাত একটার দিকে আসামি মুকুল আসামি আসমত এবং শ্যামলের সহায়তায় মাধবপুর মৌজার আবুল মাস্টারের পতিত জমিতে হানিফকে নিয়ে যায়। পরে মুকুল প্রথমে হানিফের গলায় গামছা পেঁচিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর আসমত তার দুই পা চেপে ধরেন। শ্যামল চেপে ধরেন বুক।
এরপর মুকুল একটি ছোরা দিয়ে হানিফের গলায় পোঁচ দিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ সেখানে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।
পরদিন সকালে হানিফ বাড়িতে ফিরে না আসায় তার স্ত্রী দোলেনা, তার চাচাতো ভাই মুকুলসহ অন্যরা খোঁজ করে এবং বাদী আমিরুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে খবর দেয়। তখন বাদী দিনাজপুর নুরিয়া দরবার শরীফে কর্মরত ছিল। তিনি বাড়িতে ফিরে এসে মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়া কোর্টের পিপি আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দি জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবু জাফর সিদ্দিকী ও মোছা. আয়েশা সিদ্দিকা।