ফায়াজ ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে ভাইয়ের নির্মম মৃত্যুর পর মঙ্গলবার ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন তিনি। বিশেষ ব্যবস্থায় আজকেই আবেদন করার পর ফায়াজের ছাড়পত্র মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী ফায়াজের বিষয়টি দেখভাল করছেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আবরারের পুরো পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎও করেছেন।
গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন।
দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ছিলেন বড়। তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন ফায়াজ। মা-বাবা ছাড়া ঢাকায় থাকলে বড় ভাই তার সব খোঁজখবর রাখতেন। কিন্তু ভাইয়ের চলে যাওয়ায় একা আর ঢাকায় পড়বেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন ফায়াজ।
এদিকে ফায়াজের ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদির। তিনি বলেন, কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে আসন শূন্য। জানা গেছে, বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী দেখছেন। তাই এটা নিয়ে যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আসামাত্রই তাকে (ফায়াজ) ভর্তি করানো হবে। এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ জানিয়েছেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে ছাড়পত্র নেওয়া হয়। কুষ্টিয়ায় ফিরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে তাকে (ফায়াজ) ভর্তি করা হবে।