মঙ্গলবার সম্রাটকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার দেখানোপূর্বক ২০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন সম্রাটের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন অস্ত্র মামলায় পাঁচ দিন ও মাদক মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান।
রিমান্ড শুনানির জন্য এর আগে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। এছাড়া আদালতে নেওয়া হয় সম্রাটের সহযোগী দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকেও। কিছুক্ষণ পর তাদের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি শুরু হবে।
সম্রাটকে আদালতে আনার খবরে সকাল থেকেই পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায় ভিড় করেছেন সম্রাটের কর্মী ও সমর্থকরা। সম্রাটের মুক্তির দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেন। সম্রাটের আনাকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের এবং আরমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১০ দিন রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। একই সঙ্গে এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপরও শুনানি ছিল। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ওই দিন সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি। ফলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো ও রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি।
আরমানকে অবশ্য মাদকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। দুজনের রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী।
গত ৭ অক্টোবর রাতে রমনা থানা পুলিশ অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি ১০ দিন করে ২০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আরমানকেও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ও দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গত ৬ অক্টোবর ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়। আরমান মদ্যপ অবস্থায় থাকায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। আর সম্রাটকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ওই দিনই সম্রাটের কার্যালয় রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালায় র্যাব। উদ্ধার করা হয় এক হাজার পিস ইয়াবা ও সংরক্ষণের আড়াই হাজার জিপার প্যাকেট।
সম্রাটের কক্ষে একটি লাগেজ থেকে ১৯ বোতল মদ, একটি বিদেশি পিস্তল এবং পাঁচ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন।