২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৩৪

মুসলিম নিপীড়নের কারণে চীনা কর্মকর্তাদের ভিসা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

উইঘুর মুসলমানদের নিপীড়নে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চীনের ২৮ সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করার পর এবার চীনা কর্মকর্তাদের ভিসা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জিনজিয়াংয়ে মুসলমানদের উপর চীন তার দমননীতি বন্ধ না করা পর্যন্ত ভিসা বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জিনজিয়াংয়ে মুসলিম নির্যাতন বন্ধে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপটি এখন পর্যন্ত চীনের ওপর সবচেয়ে বড় চাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যা চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনাকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।

টুইটবার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্তী মাইক পম্পেও বলেন, জিনজিয়াং থেকে মুসলমান ও তাদের সংস্কৃতি মুছে দিতে চীন জোরপূর্বক সেখানকার ১০ লাখ মুসলমানকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। চীনকে অবশ্যই তাদের দমননীতি ও নজরদারির ইতি টানতে হবে।

একইসঙ্গে চীনের মুসলামানদের মুক্তি ও তাদের বিদেশ ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উইঘুর, কাজাখসহ অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চীন সরকার নির্যাতন চালায় অভিযোগ করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলাদা বিবৃতিতে বলা হয়, শিবিরগুলোতে ব্যাপকহারে বন্দি করে তাদের ওপর উচ্চ-প্রযুক্তির নজরদারি রয়েছে। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের কারণে নির্যাতন করা হয় তাদের।

ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যারা উইঘুরদের দমন-নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত তাদের ভিসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ চীনা সরকার, কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া জিনজিয়াং প্রদেশের কাজাখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলমানের উপর অত্যাচারে লিপ্তদেরও ভিসা দেয়া হবে না। এই আদেশ ওইসকল কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের উপরও কার্যকর হবে। এমনকি তাদের ছেলেমেয়েরা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনার জন্য আবেদন করলে তাও বাতিল করে দেয়া হবে।

প্রকাশ :অক্টোবর ৯, ২০১৯ ৬:২৬ অপরাহ্ণ