কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় একদিকে জেলেরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে অন্যদিকে আবারও ২২ দিনের অবরোধের মুখে পড়ছেন জেলেরা।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সাগরে সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় ছিল। তবে ৫ মাসের মৌসুমে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ওই সময় বেকার থাকায় ঋণে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকেই। এতসব ক্ষতি মেনে নিয়ে বাংলাদেশি জেলেরা মাছ আহরণ বন্ধ রাখলেও বাংলাদেশের জল সীমায় প্রবেশ করে বিদেশী জেলেরা মাছ আহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে সামুদ্রিক মাছের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
জেলেরা জানান, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গহীন সাগরে গিয়ে মাছ আহরণ করি। কিন্তু গেল বছরের থেকে এবছর মাছ কম পাওয়ায়, মালিকের দেনা পাওনা পরিষোধ করতে পারছি না। ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের অবরোধকে সাধুবাদ জানিয়ে জেলেরা বলেন, ৬৫ দিনে অবরোধটা একটু কমিয়ে এবং অবরোধের সময় এগিয়ে নিয়ে আসলে জেলেদের সুবিধা হবে। এছাড়া অবরোধের সময় জেলেদেরকে সরকারিভাবে সহযোগিতা বৃদ্ধির দাবি জানান তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা এ বছরের মত কোন বছর ক্ষতির সম্মুখীন হইনি। প্রতিবার সাগরে একটি ট্রলার পাঠাতে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়। কিন্তু এবছর যে মাছ পাচ্ছি, তাতে খরচের টাকাও উঠছে না।
বাগেরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বলেন, ৩০ বছর ধরে ব্যবসা করি ইলিশ মাছের এমন বিপর্যয় জীবনে দেখিনি।
বর্তমানে মাছের যে অবস্থা তাতে এ ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। এবছর সবচেয়ে বড় লোকসানের মুখে পড়েছি।