আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে রাজধানী বাগদাদে জারি করা কারফিউ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বাগদাদের বাইরে অন্যান্য অঞ্চল থেকে কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। চাকরি সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা ও সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ১ সেপ্টেম্বর ওই বিক্ষোভ শুরু হয়। ৪ দিনের বিক্ষোভে এরইমধ্যে অন্তত ৬০ জন ব্যক্তির প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। সংকটের মুখে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদর।
গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে চাকরি সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের অনুসারী না হয়েও সরকারি কর্মকাণ্ডে অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের কথা জানিয়ে রাজপথে নামেন এসব বিক্ষোভকারী। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বিক্ষোভের একপর্যায়ে কারফিউ জারি করে প্রশাসন।
ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৫টার মধ্যে বাগদাদের কারফিউ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এটা পরিষ্কার নয় যে, ইরাকের অন্যান্য শহরে যে কারফিউ জারি রয়েছে তা প্রত্যাহার করা হবে কিনা।
শনিবার দেশটির নিরাপত্তা ও মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, গত চার দিনে আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে।
এদিকে এক বিবৃতিতে সরকারকে পদত্যাগ করে আগাম নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন শিয়া নেতা মুকতাদা আল সদর। গত নির্বাচনে তার জোটই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়। সে সময় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পরিচালনায় একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আইনপ্রণেতাদের পার্লামেন্ট অধিবেশনও বয়কটের আহ্বান জানান ওই শিয়া নেতা।