দেশজনতা অনলাইন : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি অনলাইনে শুরু করবে সরকার। ২০২০ সাল থেকে সারা বছর আবেদনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এই বদলি কার্যক্রম। পদ্ধতিটি চালু হলে শিক্ষকদের আর স্থানীয় শিক্ষা অফিস, অধিদফতর বা মন্ত্রণালয়ের দৌড়াতে হবে না। শিক্ষক বদলিতে ঘুষ লেনদেন ও তদবির ঠেকাতে দ্রুত এ ব্যবস্থায় যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সচিব বলেন, ‘আগামী বছর থেকেই অনলাইনে আবেদন করে শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন। এতে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়া বন্ধ হবে, শিক্ষকরাও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। প্রাপ্যতা সাপেক্ষেই শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন সারা বছর।’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই একটি সফটওয়ার তৈরি করতে অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হবে। শিক্ষক বদলির সফটওয়ার তৈরিসহ অন্যান্য কার্যক্রম চূড়ান্ত হলেই জানুয়ারি থেকে অনলাইনে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু হবে।
এ বিষয়ে সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘আমরা দ্রুত কাজ করছি। আশা করি, জানুয়ারিতেই শুরু করতে পারবো।’
তবে, মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এই কম সময়ের মধ্যে সফটওয়ার নির্মাণ করে জানুয়ারিতে অনলাইনে কার্যক্রম শুরু করা কঠিন হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে শুরু করা না যায়, তাহলে বিদ্যামান ব্যবস্থায় বদলি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। আর সফটওয়ার নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন হলেই অফলাইনে বদলি বন্ধ করে অনলাইনে বদলি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় শিক্ষা অধিদফতরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দালালরা শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে অধিদফতরের দুই-একজন কর্মকর্তা এবং নিচের স্তরের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে মন্ত্রীসহ প্রভাবশালীদের সুপারিশ আমলে নিয়ে বদলি করারও হিড়িক চলে এই সময়। অভিযোগ রয়েছে, তদবির আর ঘুষের কারণে শূন্যপদের অনুমোদন নিয়েও দিনের পর দিন অপেক্ষা করা শিক্ষকরা বদলি হতে পারেন না। কিন্তু যাদের শূন্যপদের অনুমোদন থাকে না তারাও বদলি আদেশ পান সহজে। এই অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগে থেকেই অনলাইনে শিক্ষক বদলির উদ্যোগ নেয়।
এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ করতে পারেনি অধিদফতর। বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বদলি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হয়। তবে, নিয়ম মানতে বদলি করা আদেশে ৩১ মার্চ বা তার আগের তারিখ লিখে আদেশ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বদলি আদেশ করিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক শিক্ষক প্রতারণার শিকার হন। বিগত সময়ে শিক্ষকরা প্রতারণার শিকার হলে গত বছর ১ ডিসেম্বর একটি পরিপত্রও জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের ভুয়া আদেশ জারি করে বদলির চেষ্টা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের বদলি শুরুর এক মাস আগে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর দালালরা নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বদলি ও যোগদানের চেষ্টা চালায়। এতে যোগসাজসের অভিযোগ ওঠে খোদ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। গত ১০ এপ্রিল অধিদফতরের ই-মেইল থেকেই চট্টগ্রামের উপ-পরিচালকের ই-মেইলে বদলি আদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয় পাঁচজন শিক্ষকের।
সরকারি দফতর থেকে ই-মেইলে বদলি আদেশ পাঠানো হলেও ওই সময় দাবি করা হয় আদেশ ভুয়া। তবে কে বা কারা বদলি আদেশ সরকারি অফিস থেকে পাঠালো তার কোনও জবাব দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও ছাপা হয়। বাংলা ট্রিবিউনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অধিদফতর থেকে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসে চিঠি দিয়ে জানানো হয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে কোনও আদেশ দেওয়া হয়নি।
এসব পরিস্থিতিতে সামাল দিতেই অনলাইন পদ্ধতিতে সহকারী শিক্ষক বদলি করার পরিকল্পনা নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সচিব বলেন, ‘আগামী বছর থেকেই অনলাইনে আবেদন করে শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন। এতে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়া বন্ধ হবে, শিক্ষকরাও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। প্রাপ্যতা সাপেক্ষেই শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন সারা বছর।’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই একটি সফটওয়ার তৈরি করতে অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হবে। শিক্ষক বদলির সফটওয়ার তৈরিসহ অন্যান্য কার্যক্রম চূড়ান্ত হলেই জানুয়ারি থেকে অনলাইনে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু হবে।
এ বিষয়ে সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘আমরা দ্রুত কাজ করছি। আশা করি, জানুয়ারিতেই শুরু করতে পারবো।’
তবে, মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এই কম সময়ের মধ্যে সফটওয়ার নির্মাণ করে জানুয়ারিতে অনলাইনে কার্যক্রম শুরু করা কঠিন হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে শুরু করা না যায়, তাহলে বিদ্যামান ব্যবস্থায় বদলি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। আর সফটওয়ার নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন হলেই অফলাইনে বদলি বন্ধ করে অনলাইনে বদলি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় শিক্ষা অধিদফতরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দালালরা শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে অধিদফতরের দুই-একজন কর্মকর্তা এবং নিচের স্তরের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে মন্ত্রীসহ প্রভাবশালীদের সুপারিশ আমলে নিয়ে বদলি করারও হিড়িক চলে এই সময়। অভিযোগ রয়েছে, তদবির আর ঘুষের কারণে শূন্যপদের অনুমোদন নিয়েও দিনের পর দিন অপেক্ষা করা শিক্ষকরা বদলি হতে পারেন না। কিন্তু যাদের শূন্যপদের অনুমোদন থাকে না তারাও বদলি আদেশ পান সহজে। এই অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগে থেকেই অনলাইনে শিক্ষক বদলির উদ্যোগ নেয়।
এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ করতে পারেনি অধিদফতর। বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বদলি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হয়। তবে, নিয়ম মানতে বদলি করা আদেশে ৩১ মার্চ বা তার আগের তারিখ লিখে আদেশ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বদলি আদেশ করিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক শিক্ষক প্রতারণার শিকার হন। বিগত সময়ে শিক্ষকরা প্রতারণার শিকার হলে গত বছর ১ ডিসেম্বর একটি পরিপত্রও জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের ভুয়া আদেশ জারি করে বদলির চেষ্টা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের বদলি শুরুর এক মাস আগে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর দালালরা নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বদলি ও যোগদানের চেষ্টা চালায়। এতে যোগসাজসের অভিযোগ ওঠে খোদ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। গত ১০ এপ্রিল অধিদফতরের ই-মেইল থেকেই চট্টগ্রামের উপ-পরিচালকের ই-মেইলে বদলি আদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয় পাঁচজন শিক্ষকের।
সরকারি দফতর থেকে ই-মেইলে বদলি আদেশ পাঠানো হলেও ওই সময় দাবি করা হয় আদেশ ভুয়া। তবে কে বা কারা বদলি আদেশ সরকারি অফিস থেকে পাঠালো তার কোনও জবাব দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও ছাপা হয়। বাংলা ট্রিবিউনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অধিদফতর থেকে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসে চিঠি দিয়ে জানানো হয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে কোনও আদেশ দেওয়া হয়নি।
এসব পরিস্থিতিতে সামাল দিতেই অনলাইন পদ্ধতিতে সহকারী শিক্ষক বদলি করার পরিকল্পনা নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।