১৪ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৯৩ রান। বাকি ৬ ওভারে তারা তুলেছে ৭১ রান। তাইজুলের ওই ওভারের প্রথম বলে নো বল না হলে এত বড় স্কোর হতো না মনে করেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে নো বল এক ধরনের অপরাধ বললেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার, ‘আমার মনে হয় নো বলটা আমাদের অনেক বেশি ভুগিয়েছে। এর বাইরে অতিরিক্ত রানও ভোগান্তির কারণ ছিল। এখানেই আমরা অনেক পেছনে পড়েছি। তাইজুলের ওই ওভারে আমরা ১৬ রান দিয়েছি, ওটা বাদ দিলেই তো ম্যাচ আমরা জিতে যাই। নো বল না হয়ে আউট হলে হয়তো ওই ওভারে ৫ রান হতো, মোমেন্টামটা আমাদের দিকে চলে আসতো। এগুলো ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নো বল তো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।’
আফগান ব্যাটসম্যানদের মিস হিটগুলোও চার হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সাব্বির-মাহমুদউল্লাহ-আফিফদের পাওয়ার হিট শটগুলো বাউন্ডারির সীমানার সামনে ক্যাচে পরিণত হয়। এখানে বাংলাদেশ পিছিয়ে কিনা প্রশ্নে সাকিবের জবাব, ‘পাওয়ারে সব সময় আমাদের সংগ্রাম করতে হয়, সেটা আমরা জানি। আমরা দারুণ শুরু করেছিলাম বোলিংয়ে, কিন্তু শেষ ১০ ওভারে ওরা ১০৪ রান করেছে। এটা আমাদের জন্য হতাশার। আমরা শেষ দিকে উইকেট নিতে পারিনি। ৪০ রানে চার উইকেট হারানোর পর ওরা এই চাপ সামাল দিয়েছে। ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
সাকিব সবচেয়ে বেশি হতাশ আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ড দেখে। তাদের ১৬৪ রান বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত, ‘ইনিংসের অর্ধেক সময়ে তারা যে অবস্থায় ছিল তাতে কখনও মনে হয়নি ১৩৫ রানের বেশি করতে পারবে। কিন্তু আমাদের হতাশ করেছে ওরা।’
প্রথমবার মুশফিকুর রহিমকে এদিন ওপেনার হিসেবে দেখা গেছে। নতুন ভূমিকায় নেমে মাত্র ৫ রানে বিদায় নিয়েছেন তিনি। হঠাৎ করে তাকে কেন ওপেনিংয়ে নামানো হলো জানতে চাইলে সাকিব বলেছেন, ‘টিম মিটিংয়ে আমরা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা যারা বেশি ম্যাচ খেলেছি, তাদের অভিজ্ঞতা বেশি। যেহেতু আমাদের ভালো শুরু হচ্ছে না, সেই কারণে ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করা হয়েছে। দায়িত্বটা আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর বেশি বর্তায়, আমরা যেন সেটা আরও বেশি নিতে পারি তাই মুশফিক ভাইকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছে।’
বড় লক্ষ্যে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই ওলট-পালট শট খেলতে থাকে বাংলাদেশ। চাপ থাকার কথা স্বীকার করলেন অধিনায়ক, ‘চাপ তো সব সময়ই থাকে। রান তাড়া করতে গেলে শুরুটা ভালো করা জরুরী। দুই ম্যাচেই আমাদের ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি, যেটা আমাদের জন্য হতাশার।’ এই হারের পর টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে নিয়ে সাকিবের মূল্যায়ন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান অবশ্যই বড় দল। আমরা দশে, ওরা সাতে। আমাদের ওপরে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর শ্রীলঙ্কা। যাদের বিপক্ষে আমরা মাঝেমধ্যে জিতি, আবার কখনও হারি। আফগানিস্তানের কাছে আমরা দেরাদুনে হেরেছিলাম। তারা যে এগিয়ে সেটা আজও প্রমাণ হলো। একই সঙ্গে এটাও বলতে হয়, আমরা তাদের ম্যাচটা দিয়ে এসেছি।’