রবিবার সকাল ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে কাঁচপুর এলাকায় এই সংঘর্ষে জড়ান শ্রমিকরা। পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাতৃত্বকালীন ছুটি, ছুটিকালে ভাতা প্রদান, মাসিক বেতন ৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ ও ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কাঁচপুরের সিনহা গার্মেন্টের শ্রমিকরা শনিবার সকালে কারখানা এলাকায় বিক্ষোভ করেন। পরে তারা কারখানার প্রধান ফটকের বাইরে গিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অবরোধে বাধ সাধেন পুলিশ। বাধার মুখে পড়ে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে চলে যায়। পরে একদিনের জন্য কারখানা ছুটি ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।
দাবি আদায়ে রবিবার সকাল থেকে কারখানার ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শ্রমিকরা। সকাল নয়টা থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা ১১টায় মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে সোনারগাঁও থানা পুলিশের সঙ্গে বিপুল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও অভিযানে নামে। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের জলকামান ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে মারলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সংঘর্ষ বেধে যায়। শ্রমিকরা এ সময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে কাঁচপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার পাওয়া যায়। সংঘর্ষের সময় মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজট দেখা হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন ওইসব যানে থাকা যাত্রীরা।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এ সময় পুলিশ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। পুলিশ মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করছে বলে জানান ওসি।