জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হচ্ছেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয়া হবে। এরমধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাঙনের কবলে পড়ছে প্রয়াত এরশাদের জাতীয় পার্টি।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ গুলশানে বিরোধী দলের উপনেতার বাসায় এরশাদের স্ত্রী রওশনকে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেবেন।
জাপার প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, জিএম কাদের জাপার অবৈধ চেয়ারমান। তিনি বাহিনী দিয়ে অসুস্থ এরশাদকে জিম্মী করে রাতের আঁধারে তার নামে সাংগঠনিক আদেশ আদায় করেছেন। এই আদেশ অকার্যকর। জোরপূর্বক এ ধরনের সাংগঠনিক আদেশ আদায় করা হতে পারে বিষয়টি জেনে পার্টির চেয়ারম্যান নিজেই এ বিষয়ে সতর্ক করতে থানায় জিডি করেন। যাতে অসুস্থ অবস্থায় কেউ কিছু করলেও তা আইনিভাবে বাতিল হয়ে যায়।
রওশন ঘনিষ্ঠ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, ‘আমরা জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান মানি নাই। দলের গঠনতন্ত্র মতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদই হবেন দলের চেয়ারম্যান।’
জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্য বলেন, ‘স্বামীর জন্য রওশন এরশাদ জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন, তখন জিএম কাদের কোথায় ছিলেন? রাজনীতি না করেই জিএম কাদের মন্ত্রী হয়েছেন, অথচ মন্ত্রীত্ব ছাড়ার জন্য এরশাদ আদেশ দিলেও তিনি অমান্য করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুতে উত্তরাধিকারী কে হন ভাই নাকি স্ত্রী? সে হিসেবে রওশনই হবেন চেয়ারম্যান।’
এরশাদের মৃত্যুর দুদিন পর সংবাদ সম্মেলন করে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদের এর নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু রাঙ্গার এ ঘোষণায় বিরোধিতা করেন রওশন এরশাদসহ দলের নেতারা। এ নিয়ে বিবৃতিও দেন তারা।