আর্ন্তজাতিক ডেস্কঃ
উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বহুল আলোচিত ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’। শুক্রবার বিকাল ছয়টায় ভারতের শ্রীহরিকোটা থেকে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ঘোষণা দেন- সার্কভুক্ত দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ভারত একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে। তিনি এর নাম দেন ‘সার্ক স্যাটেলাইট’।
‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর সন্ধ্যায় এক ভিডিও কনফারেন্স প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে, এই স্যাটেলাইটকে মোদি প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য ‘ভারতের উপহার’ বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু ভারতের উপহার নিতে অস্বীকার করে এ প্রকল্প থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় পাকিস্তান। ফলে স্যাটেলাইটটির নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট’ করা হয়।
বাংলাদেশ মার্চে একটি চুক্তির মাধ্যমে ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইটে’ যোগ দেয়। পাকিস্তান ছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান এই প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে। এ স্যাটেলাইট পৃথিবীর চার পাশে প্রদক্ষিণ করে তথ্য-উপাত্ত পাঠাবে। এই স্যাটেলাইট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সদ্য রাষ্ট্রগুলো টেলি মেডিসিন, টেলি শিক্ষা, আন্তঃসরকার নেটওয়ার্ক, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে জরুরি যোগাযোগ, টেলিভিশন ব্রডকাস্ট, ডিটিএইচ টেলিভিশন সেবায় সুবিধা পাবে।
সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে ব্যয়ের ৪০ কোটি ডলারের পুরোটাই বহন করেছে ভারত। স্যাটেলাইটটি থেকে ১২টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে একটি বিনামূল্যে পাচ্ছে বাংলাদেশ। সেটি ইচ্ছে মতো ব্যবহারের সুযোগও থাকছে বাংলাদেশের হাতে।
এদিকে ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের পর সন্ধ্যায় এক ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা মোদির সঙ্গে এই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ এবং সৌহার্দের নতুন যুগে প্রবেশ করলাম। ভারত তার কথা রেখেছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী স্যাটেলাইটটি এ অঞ্চলের ১.৫ বিলিয়ন মানুষের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। আমরা আবারও একত্রিত হয়েছি। একত্রিত হয়ে কাজ করলে আমাদের অর্জনটা আরও বড় হবে।