সোমবার আদালতে জমা হওয়া এ মামলার অভিযোগপত্র ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার দেখার পর সেটি বিচারের জন্য ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ১৮ জুন ঢাকার মতিঝিল থানায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন মামলাটি করেন।
ঘুষের এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, যমুনা বহুমুখী সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মর্গানেট ওয়ান লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ১৯টি চেকের মাধ্যমে ছয় লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
তবে নাজমুল হুদা আদালতে এবং সাংবাদিকদের দাবি করেছেন, যমুনা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে কিছু বিজ্ঞাপন তার মালিকানাধীন ও সিগমা হুদা সম্পাদিত সাপ্তাহিক পত্রিকা খবরের অন্তরালে ছাপা হয়। ওই বিজ্ঞাপনের বিল হিসেবে মর্গানেট ওয়ান লিমিটেড প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা করে বিল হিসেবে পরিশোধ করেছে। এ বিলের মোট ৬ লাখ টাকা খবরের অন্তরালে পত্রিকার একাউন্টে জমা হয়।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি করে বলে দাবি করে আসছেন বিএনপি ছেড়ে নিজে একটি দল গঠন করা এই রাজনীতিক।