নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর ) বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে র্যালি শুরু হয়ে নাইটিংগেল মোড়-কাকরাইল-শান্তিনগর মোড় ঘুরে সাড়ে ৪টায় আবার নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এর আগে দুপুর ২টা থেকে বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন। বিএনপির র্যালিকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা জয়ী হবো।’ তিনি বলেন, ‘সরকার ভাবছে খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে দলের প্রায় ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে, হাজারো নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও নির্যাতন করে গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনকে দমন করতে পারবে। কিন্তু আজকের র্যালিতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি প্রমাণ করে সরকার এই আন্দোলন দমন করতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ আবার দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায় অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু আমরা কি বাকশাল মেনে নেবো? কোনও দিনও তা হতে দেবো না।’
সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। কিছু দিন আগে পত্রিকায় এসেছে, দেশ থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিয়েছে তারা।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান প্রমুখ।