২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:০১

স্কুলছাত্রদের চুল কাটলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন

শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলের দু’একজনের মাথার চুল বড় থাকায় স্কুলের সভাপতি সেলুন থেকে কেচি এনে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর প্রায় সকল ছাত্রের মাথার চুল কেটে দিয়েছেন। এ ঘটনায় অনেক ছাত্র লজ্জায় স্কুলে আসছে না। আবার অনেকেই সেলুনে গিয়ে চুল ঠিক করেছে। সভাপতির এমন কর্মকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস করবে না বলেও দাবি করে।

স্কুলে আগত অভিভাবক সালাম হোসেন ও তাহের আলী বলেন, ছেলে-মেয়েরা কোনো অপরাধ করলে তারা আমাদের জানাতে পারতো। গত সপ্তাহে আমাদের ছেলের চুল কাটানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তারও চুল কেটে দিয়েছে। এখন লজ্জায় সে আর এই স্কুলে আসতে চাচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, কোনো প্রকার নিয়মনীতি না মেনে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তাদের ইচ্ছেমত স্কুল চালাচ্ছেন। স্কুলে দু’এক জন ছাত্রের চুল বড় থাকতে পারে। তাই বলে গড়ে অর্ধশতাধিক ছাত্রের মাথার চুল কাটতে পারেন না। চুলের বিষয়টি আগে ছাত্রের অভিভাবকদের অবহিত করা প্রয়োজন ছিল। অথবা যে ছাত্রের চুল বড় তাদের ক্লাসে ঢুকতে না করতে পারতো।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী সরদার বলেন, সভাপতি কি হিসেবে ছাত্রদের মাথার চুল কাটলেন সেটা আমার মাথায় আসে না। তিনি তার মতো করে চলেন। এ বিষয়ে আমাদের সাথে সভাপতির কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি।

স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক বলেন, আমি গত দু’মাস আগে সভাপতির দায়িত্বে এসেছি। আমি চাই স্কুলের একটা নিয়ম থাকুক। আমি সব সময় ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের সন্তানের মত দেখি। ছাত্রদের মাথার চুল কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংবাদ করার প্রয়োজন নেই। বিষয়টি আমরা বসে সমঝোতা করবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, ছাত্রদের মাথার চুল কাটাকে কেন্দ্র করে ক্লাস বর্জন বা অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন এই বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সভাপতি বা শিক্ষকরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাথার চুল কাটার অধিকার রাখেন না। আমি বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রকাশ :আগস্ট ২৬, ২০১৯ ৬:৩৫ অপরাহ্ণ