২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:২১

সময়মতো মশার ওষুধ না কেনার দায় সরকার এড়াতে পারে না: হাইকোর্ট

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ এ ধরনের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে।

আর স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদনে হাইকোর্টকে সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনগুলোর ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আদালতকে বলেন, সরকারিভাবে ওষুধ আনার বিষয়ে আমরা (ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন) আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এ বিষয়টিকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেলা সরকারের উচিত হয়নি। এর কারণে আদালতের আদেশের পরও সাতদিন আমরা ওষুধ ছিটাতে পারিনি। এর মধ্যে আবার কোরবানির ঈদ চলে আসে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বও তখন বেড়ে যায়। তাদের অনেক কাজ করতে হয়। অথচ মশার ওষুধ আনতে সরকার সরাসরি উদ্যোগ নিলে মাত্র তিন দিন সময় লাগতো।

এরপর আদালত মশার ওষুধ আনার প্রক্রিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সময়মতো কার্যকরী মশার ওষুধ না কেনার দায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি সরকারও এড়াতে পারে না। ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যার্থতায় কারা দায়ী তা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা যায় কিনা,সে বিষয়ে আমরা আগামী বুধবার (২৮ আগস্ট) আদেশ দেবো।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৪ জুলাই আদালত তার আদেশে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে নাগরিকদের ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে এবং এডিস মশা নির্মূলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
পরে ওই বিষয়ে দুই সিটির পক্ষ থেকে ২২ জুলাই হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু সে প্রতিবেদনে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তলব করলে ২৫ জুলাই তারা সশরীরে হাজির হয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

প্রকাশ :আগস্ট ২৬, ২০১৯ ১:৫১ অপরাহ্ণ