২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:১১

রোহিঙ্গাদের প্ররোচণা দিলে ব্যবস্থা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশজনতা অনলাইন : রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থাকার জন্য প্ররোচণা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য অনেকেই প্ররোচণা চালাচ্ছেন। লিফলেট বিতরণ করছেন। ইংরেজিতে প্ল্যাকার্ড লিখে দিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনার রোহিঙ্গাদের নিধনে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণ আর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে অভিমুখে ঢল নামে রোহিঙ্গাদের। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সাড়ে তিন লাখসহ বাংলাদেশে এখন অবস্থান করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে জাতিসংঘসহ নানা সংস্থার উদ্যোগের পর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০১৮ সালের ২৩ শে জানুয়ারি প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। পরে একই বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় একজনকেও ফেরত পাঠানো যায়নি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় প্রত্যাবাসনের কথা থাকলেও রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানায় এবার তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি ভেস্তে যায়।

বাংলাদেশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও এখনো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম আজ (বৃহস্পতিবার) স্বল্প আকারে হলেও প্রত্যাবাসন শুরু হবে। তবে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। কিন্তু আমরা আশা ছাড়িনি। আমরা এখনো প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আশায় বুক বেঁধে আছি। আজকের বিষয়টি দুঃখজনক। পরবর্তী সময়ে কী করব, আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।

রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এই সংকটের সমাধান তাদের কাছেই—এমনটা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জোর করে কাউকে পাঠাব না। আমরা স্বেচ্ছায় নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই। রোহিঙ্গা সংকটের মূলে আস্থার অভাব রয়েছে। এজন্য আমরা সবশেষ চতুর্থ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে প্রস্তাব করেছিলাম, আস্থা তৈরির জন্য কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে যেসব রোহিঙ্গা মাঝি বা নেতারা রয়েছেন তাদের রাখাইন নিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো হোক, যেন রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থার যে অভাব আছে তা দূর হয়।’

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ঢাকার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন চিন্তা করেছি, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য একটি কমিশন গঠন করব, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

প্রকাশ :আগস্ট ২২, ২০১৯ ৬:০৫ অপরাহ্ণ