দেশজনতা অনলাইন : দুর্বল কোম্পানির প্রাথমিক পাবলিক অফার-আইপিও অনুমোদন দিয়ে শেয়ারবাজারে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন।
এছাড়া, অর্থ আত্মসাতের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগও খতিয়ে দেখছে দুদকের মানি লন্ডারিং শাখা।
দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে, খায়রুল হোসেনের আট বছরের মেয়াদে প্রায় ৮৮টি আইপিও অনুমোদন হয়। এরমধ্যে প্রায় অর্ধশত আইপিও নিম্নমানের। বেশ কয়েকটি নিম্নমানের কোম্পানি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে উচ্চ মুনাফা দেখিয়ে সিকিউরিটিজ রেগুলেটরে আইপিও অনুমোদন করিয়ে নেয়। তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সংস্থার শেয়ারের সূচক নিচের দিকে যেতে শুরু করে। কোম্পানিগুলোর আগের আয়ের রিপোর্টগুলো জাল ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতনে খায়রুল হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।