সরেজমিনে গিয়ে যেখা যায়, শুক্রবার রাত থেকেই উত্তরের পথে গাড়িগুলো থেমে থেমে চলাচল করছে। সড়কের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত একই চিত্র। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিরাজগঞ্জ দিয়ে গাড়ি ঠিকমতো পার হতে না পারার কারণে টাঙ্গাইলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু কী কারণে সিরাজগঞ্জ দিয়ে গাড়ি যেতে পারছে না সে বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা সঠিকভাবে বলতে পারেনি। আর আগে শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ি আটকে ছিল। পরে বিকালের দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে রাতে আবার ধীরগতি নেমে আসে মহাসড়কে।
মহাসড়কের করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় দায়িত্বে থাকা সাব-ইনস্পেক্টর মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘রাত থেকেই গাড়ি থেমে থেমে চলাচল করছে। কিছু দূর গাড়ি চললে আবার আটকে যাচ্ছে।’ যানজটের কারণ হিসেবে তিনিও সিরাজগঞ্জ দিয়ে গাড়ি ঠিকমতো পাস করতে না পারার কথা জানিয়েছেন।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের এপিএস মিন্টু শেখ জানান, রাত ১১টায় গাবতলী থেকে রওনা হন তিনি। টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত পৌঁছাতে তার ছয় ঘন্টা লেগেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম বলেন, হঠাৎ করেই একদিকে যানবাহনের চাপ, ‘অন্যদিকে হুড়োহুড়ি করে যাওয়ার সময় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যানবাহন একেবারে থেমে নেই, আস্তে আস্তে চলছে।’
সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এসআই ও কড্ডা পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই রশিদুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে কড্ডার মোড় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত নলকা সেতু পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এবং এরিস্ট্রোক্রেট মোড়ে সরু ইছামতি সেতুর কারণে যানবাহন চলাচলে ধীরগতিতে চলছে।