আদালতে কোম্পানিগুলোর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে ২৮ জুলাই বিএসটিআই অনুমোদিত ১৪টি পাস্তুরিত দুধ কোম্পানির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব কোম্পানির দুধ বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
ওই ১৪ কোম্পানি হলো, আফতাব মিল্ক অ্যান্ড মিল্ক প্রোডাক্ট লিমিটেড (আফতাব মিল্ক), আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড (ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক), আমেরিকান ডেইরি লিমিটেড, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা), বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক অ্যান্ড ফুডস লিমিটেড (ডেইরি ফ্রেশ), ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্ট (আড়ং মিল্ক), ডেনিশ ডেইরি ফার্ম লিমিটেড, ইছামতি ডেইরি ফার্ম অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস (পিওরা), ঈগলু ডেইরি লিমিটেড (ঈগলু), প্রাণ ডেইরি লিমিটেড (প্রাণ মিল্ক), উত্তরবঙ্গ ডেইরি লিমিটেড, শিলাইদহ ডেইরি (আল্ট্রা মিল্ক), পূর্ববাংলা ডেইরি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং তানিয়া ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে বিএসটিআই কর্তৃক লাইসেন্স প্রদানকৃত পাস্তুরিত দুধের নমুনা পরীক্ষা করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের ল্যাবরেটরি, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (সাভার) ল্যাবরেটরির দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর পর্যালোচনা করে এ আদেশ দেন।
পরে আদেশটি স্থগিত চেয়ে ২৯ জুলাই আপিল করে মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষ। এরপর আদালত হাইকোর্টের আদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছিলেন। এরপর নতুন করে আরও কয়েকটি কোম্পানি আপিল দায়ের করলে চেম্বার আদালত তাদের ক্ষেত্রে ৫ সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করলেন।