মোরা কালু গ্রামের ওই বাড়িতে আছড়ে পড়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং বিমান ও বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং প্রমাণ অনুসন্ধানের জন্য সেনা ও পুলিশ আবাসিক এলাকা ঘেরাও করে রেখেছে। খবর গ্লোবাল টাইমসের।
দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত পাঁচ সেনার মধ্যে দুইজন সেনাবাহিনীর পাইলট রয়েছেন। এছাড়া ১২ জন বেসামরিক লোক। সরকারি জরুরী সেবা সংস্থার কর্মকর্তা ফারুক বাট জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
এপিকে ফারুক বাট জানিয়েছেন, হতাহতদের সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবাই অগ্নিদগ্ধ। নিহতদের মদ্যে শিশুও রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা বিশাল বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। এরপর তাদের বাড়ির কাছে বিমানকে জ্বলতে দেখেন। এর একটু পর সেনা হেলিকপ্টার আকাশে চক্কর দিতে থাকে।
মোহাম্মদ মুস্তাফা জানিয়েছেন, আমার বোন, তার স্বামী এবং তাদের তিন বাচ্চা বিমান বিধ্বস্তের কারণে নিহত হয়েছেন। তাদের বাড়ির ওপরই বিমানটি আছড়ে পড়ে।
ডাক্তার আব্দুল রেহমান জানান, কমপক্ষে তিনটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখান থেকে তিনি পাইলটের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সামরিক বিমানটি রুটিন অনুশীলন ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। এসময় সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে এর বেশি কিছু জানায়নি তারা।