দেশজনতা অনলাইন : আসন্ন ঈদুল আজহায় যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে নৌপথে লঞ্চ ও সরকারি স্টিমার-জাহাজ স্বাভাবিক সার্ভিসের পাশাপাশি এবারও থাকছে স্পেশাল সার্ভিস। ইতিমধ্যে বিলাসবহুল ও যাত্রীবহুল ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে আগাম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বিগত দিনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কেবিন ও সোফার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র (স্লিপ) গ্রহণ করছেন।
এখন চলছে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। যা শেষ হলে যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে কাক্সিক্ষত টিকিট। আবার অনেক লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বিগত দিনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সরাসরি আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে কেবিন ও সোফার টিকিট বিক্রি শুরু করে দিয়েছে।
তবে বেশিরভাগ লঞ্চের অগ্রিম টিকিট আগামী ১ আগস্ট থেকে বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রীবাহী নৌপরিবহন সংস্থার (যাপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশনের স্বত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু। তিনি বলেন, স্পেশাল সার্ভিসের বিষয়ে এখনো পুরোপুরিভাবে সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ১ অথবা ২ আগস্ট ঢাকায় লঞ্চ মালিকদের সভা হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে যেহেতু ১২ আগস্ট ঈদুর আজহা তাই ৮ আগস্ট থেকে বিশেষ সার্ভিস শুরুর সম্ভাবনাই বেশি রয়েছে। যা ঈদের পর ২০ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে। তাই ১ আগস্ট থেকে সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির লঞ্চগুলোর বিশেষ সার্ভিসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
অপরদিকে ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের সুরভী লঞ্চ কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা ফারহান হোসেন জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে অগ্রিম টিকিটের আবেদন গত ২৩ জুলাই সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে যাচাই বাছাইও প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ২/১ দিনের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে টিকিট পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, ২৮ জুলাই ঢাকায় নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরে ঈদুল আজহা সম্পর্কিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠক থেকেই বিশেষ সার্ভিসসহ সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।