২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:৪৯

ফের বাড়ছে পানি, কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি আবারও হু হু করে বাড়ছে। এতে কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হয়েছে। গত কয়েকদিন নদনদীর পানি কমে জেলার বন্যা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু দুই দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদীতে ফের পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার অনেক চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিতে সাড়ে নয় লাখেরও বেশি মানুষ বন্দি হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকার গ্রামগুলো। কয়েকদিন ধরে পানি কমতে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ও বাঁধের রাস্তা থেকে অনেকে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছিলেন। এখন আবার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে ফের উঁচু বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি আর শুকনো খাবারসহ গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

পানিতে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ফসল ডুবে গেছে। এতে এসব জমিতে থাকা ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত মানুষদের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হলেও সেভাবে মাঠে নামেনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে প্রত্যন্ত এলাকার অনেক জায়গায় এখনো ত্রাণ পৌঁছেনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, দুই দিন ধরে বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার নদনদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে পানি আর না বাড়লে শুক্রবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে বলে আশাবাদী তিনি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, বন্যা দুর্গতদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। যত দিন পানি থাকবে বন্যার্ত মানুষের কোনো সমস্যা হবে না।

প্রকাশ :জুলাই ২৫, ২০১৯ ১২:৪২ অপরাহ্ণ