দেশজনতা অনলাইন : রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ওয়াসার পানিতে মল ও ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব নিয়ে প্রতিবেদনের শুনানিতে আদালত বলেছেন, আমাদের দরকার বিশুদ্ধ পানি। আমরা বিশুদ্ধ পানি চাই। আপনারা বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করুন।
বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
আদালতে ওয়াসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদন গত ৭ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের পানিতেই ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আদালত এ প্রতিবেদন সম্পর্কে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে ২৪ জুলাই পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার রিট মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে। শুনানিতে এ এম মাছুম বলেন, ‘সমন্বিত পানি পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো ফিকাল কলিফর্ম পাওয়া গিয়েছিলো। সেই প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ ছিলো, সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। সে সুপারিশ অনুসারে আইসিসিডিআর বি ও বুয়েটে আমাদের পানি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিলো। পাতলা খান লেনের পানির রিপোর্ট পেয়েছি। মিরপুরেরটা রোববার পাবো।’
তখন তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আদালতের আদেশের পরে পানি পরীক্ষার জন্য কমিটি গঠন করতে তিন মাস সময় লেগেছিলো। আজকে প্রতিবেদনের ওপর জবাব দাখিলের কথা ছিলো।’
এ এম মাছুম বলেন, ‘একটা প্রতিবেদন হাতে এসেছে। মিরপুরেরটা রোববার আসবে। আসলে প্রতিবেদন দিয়ে দিবো।’
এ সময় আদালত আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা (ওয়াসা) যদি সমস্যা সমাধান করতে পারে, তাহলে ভালো। আমাদের দরকার পানি। বিশুদ্ধ পানি। আমরা বিশুদ্ধ পানি চাই। এটা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো।
এরপর আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ জুলাই দিন রেখেছেন।
পরে এ এম মাছুম বলেন, ‘সমন্বিত প্রতিবেদন আসার পর সেখানে জোন-১ ও জোন-৪ । একটি মিরপুর অপরটি পাতলা খান লেনে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন। সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হলে ফিকাল ও ই-কোলাই । ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে আমরা ওয়ান বাই ওয়ান কারেক্টিফিকেশনে গিয়েছি।’