পুলিশের হাতে সোপর্দ করা তিনজন হলেন- রবিউল ইসলাম, তার বন্ধু এহসান আলী ও এহসানের স্ত্রী সেলিনা খাতুন। আর তাদের সঙ্গে থাকা সাত বছর বয়সী শিশুর নাম মৌসুমি খাতুন। সে সেলিনার চাচাতো বোন।
রবিউলের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ফাটাপাড়া গ্রামে। আর এহসানের বাড়ি হরিসপুর। এহসানের সঙ্গে কিছুদিন ধরে বনিবনা না হওয়ায় তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন চর বাগডাঙ্গা গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকেন। তারা সবাই খারিজাগাতি কচিয়াপাড়া গ্রামে রবিউলের মামা মো. শামসুদ্দিনের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। ফেরার পথেই ছেলেধরা ভেবে তাদের আটক করেন গ্রামবাসী।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য দূর করতে মঙ্গলবার এই দম্পতিকে মামার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান রবিউল। আসার সময় সেলিনা তার চাচাতো বোন মৌসুমীকে সঙ্গে আনেন। রাতে থাকার পর সকালে তারা বাড়ি যাচ্ছিলেন। ওই সময় সঙ্গে শিশু দেখে গ্রামবাসী তাদের আটকান। এরপর রবিউল ও এহসানকে গামছা দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আনে। এরপর তাদের গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওসি আরও জানান, তিনজনের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসার পর সবাইকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। নিছক ‘ছেলেধরা’ গুজবের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান গোদাগাড়ী থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।