সাতক্ষীরা শহরের রাজার বাগান এলাকার গৃহিনী শাহনারা বেগম বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকার ছেলেধরা সন্দেহে মারা হচ্ছে। তাই গত কয়েকদিন ধরে ভিক্ষুকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যারা ভিক্ষা করতে আসছেন তাদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি আবার কারও কাছে স্মার্ট কার্ড দেখেছি।’
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ফেসুবকে পেজে সতেনতামূলক পোস্ট দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গুজব ছড়াবেন না, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। এই পর্যন্ত গণপিটুনির ফলে যতগুলো নিহতের ঘটনা ঘটছে তার প্রত্যেকটি ঘটনা আমলে নিয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে এবং জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। গুজব ছড়ানো এবং গুজবে কান দেওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং কাউকে সন্দেহ হলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ বলেন, ‘ছেলেধরা গুজবের বিষেয়ে সবাইকে সচেতন করতে বিভিন্ন এলাকা মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে সভা করা হয়েছে। গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে সবাইকে সতেচন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’