সোমবার (২২ জুলাই) সকালে চিকিৎসাসহ মিন্নির পক্ষে দুটি আবেদন করেন তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম। বেলা ১২টায় বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী আবেদন দুটি নামঞ্জুর করেন। আদালত বলেছেন, জেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরে আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিন্নির চিকিৎসাসহ দুটি আবেদন করেছিলাম। এর মধ্যে একটি আবেদন ছিল মিন্নির চিকিৎসা চেয়ে।’
এছাড়া, ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি প্রত্যাখ্যানের আবেদনে মিন্নির স্বাক্ষরের জন্য তাকে আদালতে হাজির করতে আদালতের অনুমতি চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়। বিচারক দুটি আবেদনই নামঞ্জুর করেন।’
অ্যাডভোকেট আসলাম বলেন, ‘আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে বলেছেন, এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। পরে মিন্নিকেও রিফাত হত্যা মামলার আসামি করে গ্রেফতার দেখানো হয়। মিন্নিসহ এ পর্যন্ত ১৩ আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।