দেশটির মোট জনসংখ্যা ৭০ লাখ। বেশিরভাগ নাগরিকের তথ্য হ্যাকের ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে বুলগেরিয়া প্রশাসন।
তথ্য নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক দিনে এই কাজটা হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে পরিকল্পনা করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে হ্যাকাররা। এই তথ্য ব্যবহার করে ভবিষ্যতেও তারা আরও ক্ষতি করতে পারে, এই আশঙ্কাও রয়েছে।
এর কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, কোনো ব্যবহারকারী তার পাসওয়ার্ড বদল করেন। তবে তার ইউজার আইডিটা একই থাকে। করের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যে তথ্য দেওয়া হয়, তা বদল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকেই না। তাই হ্যাক হওয়া তথ্য থেকে বড়সড় বিপদ হতেই পারে।
এ প্রসঙ্গে বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ার এক সাইবার সিকিউরিটি সংস্থার কর্ণধার গে বাঙ্কার বলেন, ‘আপনি আপনার পাসওয়ার্ড দীর্ঘ করতে পারেন, শক্তিশালী করতে পারেন। তবে সরকারের কাছে আপনি যে তথ্য দেন, তার বদল হয় না। আপনার জন্মের বছর, তারিখ একই থাকে। ঠিকানাও সাধারণত বদলায় না’। ডার্ক ওয়েবে মেলা হ্যাকিং টুলস এবং ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে হ্যাকাররা তথ্য হ্যাক করেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বুলগেরিয়ায় হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য নতুন কিছু নয়।
গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির জন্য পৃথক তথ্যের সুরক্ষা আইন পাশ হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকে অভিযুক্তের শাস্তির বিধান রয়েছে। এরপরও বুলগেরিয়ায় তথ্য হ্যাক ঠেকানো যায়নি। কয়েক মাস আগেই এই দেশের কমার্শিয়াল রেজিস্ট্রি দপ্তরের তথ্য হ্যাক হয়েছে।
বিশাল এই তথ্য হ্যাকের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বুলগেরিয়ান কমিশন ফর ডেটা প্রোটেকশন। ওই দেশের ন্যাশনাল রেভিনিউ এজেন্সি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। সংস্থার মুখপাত্র এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।