একই সঙ্গে ধর্ষণ মামলায়ও পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলো, নগরীর লবণচরা বুড়ো মৌলভী’র দরগা এলাকার শেখ আব্দুল জলিলের দুই ছেলে পিটিল ও শরিফুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত সিকদারর ছেলে পলাশ এবং অহিদুল ইসলামের ছেলে সাঈদ ও লিটন। তাদের মধ্যে ঘটনার পর থেকেই শরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে অ্যাসিস্টান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কাজী সাব্বির আহমেদ ও সংস্থার খুলনা জেলা সমন্বয়কারী অ্যাভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে মহানগরীর লবনচরা থানা এলাকার বুড়ো মৌলভী (রহ.) দরগাপাড়া ৩নং সড়কের ‘ঢাকাইয়া হাউস’ নামে বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ইলিয়াস চৌধুরী ও তার মেয়ে পারভীন সুলতানাকে শ্বাসরাধ করে হত্যা করে। হত্যার আগে দুর্বৃত্তরা পারভীন সুলতানাকে ধর্ষণ করে। পরে সেফটিক ট্যাংকির মধ্য ফেলে লাশ গুমের চেষ্টা করে। পারভীন সুলতানা এক্সিম ব্যাংক খুলনার কালিবাড়ী শাখার ক্যাশ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর নিহত ইলিয়াস চৌধুরী’র ছেলে রেজাউল আলম চৌধুরী বিপ্লব বাদী হয়ে লবনচরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই এলাকার নোয়াব আলী গাজী ওরফে নবাব এবং আইয়ূব আলী মিস্ত্রি’র ছেলে আসলাম মিস্ত্রি’র নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়। এরইমধ্য পুলিশ বুড়ো মৌলভীর (র.) মাজার এলাকার আবুল কালামের ছেলে মো. লিটনকে গ্রেফতার করে। ওই বছরই ২১ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগর হাকিম আয়শা আক্তার মৌসুমী’র আদালতে লিটন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
পরে ২২ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই রজাউল আলম চৌধুরী বিপ্লব বাদী হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লবনচরা থানায় নতুন করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. কাজী বাবুল খুলনা’র মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। এছাড়া ধর্ষণের মামলায় একই বছরের ২৪ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি অ্যাডভোটে ফরিদ আহমেদ এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।