ঘটনার পরপরই ঘাতক হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। আসামিরা সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। তাদের বাড়ি কুমিলার লাকসাম উপজেলায়। নিহত ফারুক অহিদুর রহমানের ছেলে এবং ঘাতক হাসান শহিদুল্লার ছেলে। নিহত ফারুক পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট মনোহরগঞ্জ উপজেলায় সংঘটিত একটি হত্যা মামলায় ( মামলা নং-১৩) আসামি হাসান ও ফারুক হাজিরা দিতে এসেছিলেন।
কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের পিপি নুরুল ইসলাম জানান, আদালতে এজলাস চলাকালীন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য প্রদানের সময় আসামি হাসান অন্য আসামি ফারুককে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে ফারুক মারা যায়। পরে হাসানকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে কোর্ট পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন জানান, ফারুককে অপর এক আসামি ছুরিকাঘাত করার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, দুপুর ১২টায় দায়রা জজ ৩য় আদালতে জেলার মনোহরগঞ্জের একটি হত্যা মামলার শুনানি চলাকালে আসামি হাসান অপর আসামি ফারুককে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ফারুককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এত নিরাপত্তার মাঝেও আসামির ছুরি নিয়ে আদালতে প্রবেশের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।