দেশজনতা অনলাইন : পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিক দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি হবে, এমন খবর নিশ্চয়ই আগে শোনেননি। বিশ্বের নানা দেশের সমুদ্রগুলোকে দূষিত করা ও সৈকতে জমে থাকা রিসাইকেল করতে না পারা প্লাস্টিক এবার বিদ্যুৎ তৈরিতে ব্যবহার হবে।
পুনর্ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক থেকে উৎপাদন করা বিদ্যুৎ বাসায় ব্যবহার করা যাবে। বিশ্বে এ ধরনের উদ্যোগ এটাই প্রথম। এই প্রক্রিয়ায় রিসাইকেল করতে না পারা প্লাস্টিককে বিদ্যুৎ ও হাইড্রোজেন জ্বালানিতে পরিণত করা হবে।
ইউনিভার্সিটি অব চেস্টারের গবেষকরা এমন সব উপকরণের উপর নজর দিয়েছেন, যা রিসাইকেল করা যায় না। যেমন ফুড প্যাকেজিং, সমুদ্র সৈকতে জমে থাকা প্লাস্টিক। পরিবেশ দূষণ করা প্লাস্টিককে পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানি ও বিদ্যুতে পরিণত করাই তাদের লক্ষ্য ছিল।
গবেষকরা বলছেন, বিশ্বে এ ধরনের উদ্যোগ আগে নেয়া হয়নি। এক্ষেত্রে সব ময়লা প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে ও সেগুলোর কোনো অবশেষ থাকবে না। নতুন এই প্রযুক্তিতে পরিত্যক্ত সব প্লাস্টিক ২ ইঞ্চি আকারে কেটে সেগুলোকে ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলানো হবে। এ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন গ্যাস শক্তিতে রূপান্তর হবে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই ইংল্যান্ডের চেশায়ারের নিজস্ব কারখানায় যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, তা দিয়ে প্রতিদিন ৭০০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। আর প্রতি দুই সপ্তাহে ৭ হাজার হাইড্রোজেন জ্বালানি নির্ভর গাড়ির জন্য জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে।
পাওয়ার হাউস এনার্জির পার্টনারশিপে উদ্ভাবিত এই পদ্ধতি এরপর এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সম্প্রসারণ করা হবে, যাতে করে বিভিন্ন দেশের সমুদ্রে থাকা প্লাস্টিক অপসারণ করে শক্তিতে রূপান্তর করা যায়। এরই মধ্যে জাপান সরকার এই প্রযুক্তি গ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত দুই বছর ধরে নতুন এই উদ্ভাবনকে পরীক্ষামূলকভাবে কাজে লাগিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার।
ওয়েস্ট টু ট্রিসিটি প্রতিষ্ঠান, যা এই প্রযুক্তি উন্নয়ন করার লাইসেন্সপ্রাপ্ত, তার কো-চেয়ারম্যান হাওয়ার্ড হোয়াইট বলেছেন, বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিকের উপকরণ যে পরিবেশ দূষণ সমস্যা তৈরি করছে, আমরা তার সমাধান খুঁজে পেয়েছি। এতে করে বিশ্বের সমুদ্র এলাকার ৯০ শতাংশ প্লাস্টিক যেখানে পাওয়া যায়, সেসব দেশ- চীন, ভারত ও এশিয়ায় প্লাস্টিকের সমস্যা আর থাকবে না।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল