অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড দু’টো দলেই দুই বিধ্বংসী ওপেনার রয়েছেন। তার উপরে দুই দলেই রয়েছে নতুন বলে বোলিং করার কমপক্ষে এমন একজন বোলার, যে নিজের দিনে যে কোনও বিপক্ষকে চূর্ণ করে দিতে জানে।
গত বছর স্মিথ এবং ওয়ার্নার নির্বাসনে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া দল নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা দুজন ফেরায় বিশ্বকাপে জ্বলে উঠেছে অজিরা। বিশ্বকাপে ওরা নিজেদের সেরা খেলাটাই তুলে ধরেছে। অস্ট্রেলিয়া জানে এই ধরনের বড় মঞ্চে কীভাবে ঝলসে উঠে বিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে হয়। জানে নকআউটে বাজিমাত করার কৌঁশল। ভারতের কাছে হার আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আত্মতুষ্ট হয়ে শেষ ম্যাচে হার ছাড়া এই অস্ট্রেলিয়া দলকে কখনও নড়বড়ে মনে হয়নি। নকআউটে অস্ট্রেলিয়া সব সময়ই ভয়ঙ্কর।
যদিও ইংল্যান্ড কাগজ-কলমে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ভারসাম্যে এগিয়ে। ভারত ও নিউজিল্যান্ড, দুই দলকেই হেলায় হারিয়েছে ওরা। ইংল্যান্ড দলের অন্যতম বড় ভরসা ওদের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জ্যাসন রয়। পাশাপাশি অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান এবং জো রুটও নিজেদের দিনে ভয়ঙ্কর।
তবে অস্ট্রেলিয়ার দুই আগুনে বোলার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের সামনে ইংল্যান্ড ব্যক্তিগত দক্ষতার উপর নির্ভর করে ফাইনালের অঙ্ক কষতে গেলে মুশকিলে পড়বে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বরং রুটদের দলগতভাবে খেলতে হবে।
আদিল রশীদ ও মঈন আলী থাকায় মাঝের দিকের ওভারগুলোতে বৈচিত্র যোগ করতে পারবে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যারোন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার স্পিনের বিরুদ্ধে অনেক সময় ছন্দ পায় না। তাই ইংল্যান্ড শুরুতে স্পিনার এনে চমক দিতেই পারে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার মাঝের দিকের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অ্যালেক্স ক্যারি দুর্দান্ত। এই প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার ত্রাতা হয়ে দেখা গিয়েছে ক্যারিকে।
ম্যাচটা হবে বার্মিংহামে। যেখানে ৩০০ রান ওঠাটা স্বাভাবিক। পাশাপাশি সিমাররাও এই মাঠে সুবিধা পায়। তাই দুর্দান্ত একটা ব্যাট ও বলের দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে আছে ক্রিকেটবিশ্ব। একই সঙ্গে টস জেতাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, টসে জিতে এই মাঠে সব অধিনায়কই শুরুতে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে বড় রান চাপিয়ে দিতে চাইবে। তারপর স্কোরবোর্ডের চাপ আর আক্রমণাত্মক বোলিং তো রয়েছেই।