দেশজনতা অনলাইন : ‘মূল সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত’ প্রত্যাহার না করলে বুধবার সকাল থেকে ফের রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নামার ঘোষণা দিয়েছে রিকশাচালকরা। সোম ও মঙ্গলবারের মতো বুধবারও সকাল ৮টা থেকে ফের সড়ক অবরোধ করবে তারা। যদিও আজকের মতো সড়ক ছেড়ে দিয়েছে যান চলাচলের জন্য।
মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘোষণা দেয় রিকশা-মালিক নিবন্ধিত ছয়টি সংগঠনের সমন্বয় পরিষদ।
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দুটি দাবি না মানলে আমরা আজকের মতো কালও রাজপথে থাকব। এ পরিষদের সদস্যরা সকাল থেকে যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এলাকায় থাকবে। রিকশাচালক-মালিক ও গ্যারেজ মালিকরা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আধাবেলা থাকব নাকি সন্ধ্যা পর্যন্ত সে সিদ্ধান্ত রাতে নেয়া হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর খিলগাঁও, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন রিকশাচালক ও মালিকরা।
তাদের দাবি মূলত ঢাকার মূল সড়কে রিকশা চলাচল উন্মুক্ত করা।
জাতীয় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনসুর আলী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সড়কে নেমে আন্দোলন করছি না। চালক ও মালিকরা বিচ্ছিন্নভাবে সড়ক অবরোধ করছে। আমরা বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবে একটি মহাসমাবেশ করব। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি নিয়ে যাবো।
তাদের দুটি দাবি হচ্ছে সড়কে রিকশা বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার এবং রাজধানী থেকে অবৈধ রিকশা উচ্ছেদ করা।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের রিকশা মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক মো. মমিন আলী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা চাই সড়কে ব্যাটারিযুক্ত রিকশা চালানো বন্ধ করে মূল সড়কে বৈধ রিকশা চলাচল করতে দেয়া হোক। এছাড়া যানজট নিয়ন্ত্রণে সড়কের বাম দিকে রিকশার জন্য আলাদা লেন করে দিতে হবে। এ বিষয়ে আমরা রোববার প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেব।
গত ৩ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) এক বৈঠকে রাজধানীর তিনটি রুটে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতকাল রোববার (৭ জুলাই) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
প্রাথমিকভাবে গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রিকশা চলাচল করবে না। এছাড়া কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে রামপুরা হয়ে খিলগাঁও-সায়েদাবাদ পর্যন্ত রিকশাসহ অন্যান্য অবৈধ ও অননুমোদিত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোমবার সকালে রাজধানীর মুগদা এলাকায় প্রথমবারের মতো অবরোধ করে রিকশা চালক ও মালিকরা আন্দোলন করে। দ্বিতীয় দিন আরও ভয়াবহ রূপ নেয় তাদের অবরোধ। বিকেল পৌনে ৪টায় তারা সড়ক ছাড়ে।