নয়ন বন্ডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ সময় উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের জন্য করা মামলায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিফাত ফরাজীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, গত ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা ও একটি অস্ত্র মামলা করে। দুটি মামলায় রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের করা অস্ত্র মামলায় রিফাত ফরাজীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগেও রিফাত শরীফকে হত্যা মামলায় রিফাত ফরাজীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। পরে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডটি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়। রিফাত শরীফের খুনিরা যেন দেশ ছাড়তে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। এজন্য দেশের সকল বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌ-বন্দরে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পরে একে একে গ্রেপ্তার করা হয় আটজন। তবে মূল আসামি নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী এবং রিশান ফরাজী ধরাছোঁয়ার বাহিরে ছিলেন। পরে প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড ০২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। আর গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে বরগুনা থেকে গ্রেপ্তার করা মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী।