২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:৪২

রামপুরা-বাড্ডায় রিকশা চালকদের অবরোধ, বিক্ষোভ

দেশজনতা অনলাইন : রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে রামপুরা-বাড্ডায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে রিকশা চালকেরা।

মঙ্গলবার সকাল সোয়া আটটার দিকে রামপুরার ওয়াপদা রোড, উত্তর বাড্ডা ও কুড়িল বিশ্বরোডের সড়কের একপাশে অবরোধ করে রিকশা চালকরা। এর ফলে ওইসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশপাশের সড়কগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। উপায় না পেয়ে স্কুল ও অফিসগামী লোকজন পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

যানজট নিরসনে আগে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল সিটি করপোরেশন। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয় আরও তিনটি সড়ক।

গত ৩ জুলাই পৃথক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গত রবিবার থেকে এই ঘোষণা কার্যকর হয়।

যে তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো হলো গাবতলী থেকে মিরপুর রোড হয়ে আজিমপুর; সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ এবং কুড়িল থেকে বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত প্রধান সড়কে।

ভবিষ্যতে রিকশা চলাচল বন্ধের তালিকায় আরও সড়ক যুক্ত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধে সিটি করপোরেশনের এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ রিকশা চালকরা। এর প্রতিবাদে গতকাল মুগদায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। আজও রামপুরা ও বাড্ডায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে চালকরা।

তারা নিজেদের দাবির সপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে। তাদের দাবি, যে তিন সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে সেখানে রিকশা চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। না হলে আরও বড় আন্দোলনে যাওয়ার আলটিমেটামও দিয়েছে রিকশা চালকরা।

রামপুরায় সড়কে অবস্থান নেওয়া রিকশাচালক কাওছার বলেন, ‘রিকশা না চললে আমরা কী করে খামু। কেমনে সংসার চালামু।’ এ সময় রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়ার দাবি করেন তিনি।

রিকশা চালক বাসির বলেন, ‘রিকশা ছাইড়া আমাদের বাঁচতে দেন। না হলে আমাদের বিষ কিনা দেন, খায়া মইরা যাই।’

রিকশা চালকরা জানান, সকাল সোয়া আটটা থেকে শুরু হওয়া তাদের এই কর্মসূচি চলবে দুপুর একটা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে কালকে সাত ঘণ্টা সড়কে অবস্থান নেবেন তারা।

এদিকে রিকশা চালকদের সড়কে অবস্থান নেওয়ায় এসব সড়ক ব্যবহারকারী মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে পায়ে হেঁটে বা বিকল্পভাবে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।

প্রকাশ :জুলাই ৯, ২০১৯ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ