বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত সংলগ্ন গেট ‘মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ’-এর নিচে অবস্থান করেন এসব শিক্ষার্থী।
দাবি আদায়ের বিষয়ে উপাচার্যের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়ে আবার অবস্থানস্থলে আসেন তারা। সেখানে এসে কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু বকর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি অতি দ্রুত আদায়ের বিষয়ে উপাচার্য স্যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি আমাদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে অবহিত করেছেন। প্রতিটি কলেজে ভোকাল পয়েন্ট খোলা হয়েছে। সেখানে আমাদের যোগাযোগ করতে বলেছেন তিনি।’
দ্রুত দাবি মেনে না নিলে পরবর্তী সময়ে কঠিন আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পাঁচ দফা দাবি হলো, ফলাফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রতা ছেড়ে ৯০ দিনের মধ্যে সব বিভাগের ত্রুটিমুক্ত ফল একত্রে প্রকাশ করা, সব বর্ষের ফলাফলে গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনঃমূল্যায়ন করা, সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, সিলেবাস অনুযায়ী মানসম্মত প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ উত্তরপত্র মূল্যায়ন সাত কলেজের শিক্ষকদের দ্বারা করা, সেশনজট দূর করতে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্লাস প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও পাঁচ দফা দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন, সে সময় তাদের দাবি তিন মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন ঢাবি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আশ্বাসের পর ৭০ দিন পেরিয়ে গেলেও দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছেন তারা।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

