২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৫০

‘খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বিএনপি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্রের জন্য, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যেকোনো উদ্যোগকে বিএনপি স্বাগত জানায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জিএম সিরাজকে নিয়ে শুক্রবার বিকেল তিনটায় রাজধানীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বগুড়া-৬ সংসদীয় আসনটি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী আসন। এখান থেকে তিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। আজ সেই আসনের উপ-নির্বাচনে আমাদের বগুড়ার জনপ্রিয় নেতা জিএম সিরাজ নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা তাকে সাথে নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজার জিয়ারত করলাম। আজকে এখানে শপথ নিয়েছি, গণতন্ত্রের যে সংগ্রাম তাকে অব্যাহত রেখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে জোরদার করবো। আমরা আশা করবো জিএম সিরাজ, যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি পার্লামেন্টে গিয়ে দেশের কথা, জনগণের কথা, বেগম জিয়ার মুক্তির কথা এবং নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলবেন।’

তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।’
২০ দলীয় জোটের শরীক এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ‘জাতীয় মুক্ত মঞ্চ’ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেকোনো দলের সিদ্ধান্ত নেয়ার ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ঘোষণা করার অধিকার আছে, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে গণতন্ত্র ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যেকোনো উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।’ বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে এবং প্রতিদিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। বরগুনার এ ঘটনা প্রমাণ করে এ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি বলেন, সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণের মাধ্যমে বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণেই এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সাথে বরগুনার যুবক হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র খুঁজে পান কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, অপরাধী যদি শাস্তি না পায় এবং দলীয় কারণে তারা যদি মুক্ত হয়ে যায় তবে স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য অপরাধীদের ওই দলের ছত্রছায়ায় গিয়ে অপরাধ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এবং সে কারণেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যান খুঁজলে দেখতে পাবেন গত ১০ বছরে যত হত্যা হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে, ধর্ষণ হয়েছে এবং অতিসম্প্রতি যেসব হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তা নজিরবিহীন।’

এরকম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা বেড়েছে যেহেতু আইনের শাসন নেই, জবাবদিহিতামূলক কোনো সরকার নেই, যেহেতু জনগণ এ সরকারকে নির্বাচিত করেননি, তাই এখানে ন্যায়বিচার নেই এবং বিচারহীনতার প্রবণতা রয়েছে। তাই এধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রকাশ :জুন ২৯, ২০১৯ ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ