নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্ষমতাসীন দলের ‘ধনী চক্র’কে সুবিধা দিতেই সরকার বাজেট প্রণয়ন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জিয়া আদর্শ একাডেমীর উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবউন নবী খান সোহেলের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আমির খসরু বলেন, ‘গরীব-কর্মজীবী মানুষের টাকা লুটপাট করে বড় লোকদের মধ্যে বিতরণ করার একটা প্রক্রিয়া বাংলাদেশে এখন শুরু হয়েছে। এ বাজেটটা তারই একটা অংশ। এই বড় লোক মানে তারা আবার দলীয় বড় লোক। যেকোনো বড় লোক হলে চলবে না। ব্যবসায়ী মানে দলীয় ব্যবসায়ী হতে হবে। এর বাইরে কারও ফিরে আসার সুযোগ নেই।’
প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট সম্প্রসারণের প্রস্তাবে সমালোচনা করে আমির খসরু বলেন, ‘এই ভ্যাটের যে সম্প্রসারণ করা হয়েছে, দেখবেন এটি অবাক করা কারবার। সাধারণ গরীব ও মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ। যারা দৈনন্দিন জীবনে যেসমস্ত জায়গায় টাকা খরচ করে প্রত্যেকটির ওপরে ভ্যাট বসিয়ে দিয়েছে। আমার মনে হয় তারা (সরকার) ভ্যাটের আইন-কানুনও মানে নাই, তারা জেনেই এটা করেছে। ভ্যাটের নিয়মটা হচ্ছে, বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাট যখন দেয় বিভিন্ন পর্যায়ে রেয়াত পেয়ে যায়। এটা আলটিমেটলি যদি ৭ শতাংশ ভ্যাট হয়, যে ব্যক্তিটি শেষ পণ্যটি কিনে সে সাত শতাংশ ভ্যাট দেয়, এটা সরকারের কোষাগারে চলে যায়।’
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংকে তারল্য সংকট, মেগা প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা অর্থ লুটপাটের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘সাধারণ মানুষের অর্থ লুটপাট করে দেশে দলীয় চক্র তৈরি করা হয়েছে। এই লুটপাটে দলীয় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়, আমলা এবং যারা নির্বাচনী চক্রে ছিল তারা সকলে এই লুটপাটের অংশ নিয়েছে। এখান থেকে মুক্ত হতে হলে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে।’
সংগঠনের সভাপতি আজম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জুবেদের পরিচালানায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, কাদের গনি চৌধুরী, তকদির মো. জসিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।