অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে স্বর্ণমেলা করবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। রাজধানীতে ২৩ জুন এ মেলা শুরু হবে। ঢাকায় তিন দিন হলেও বিভাগীয় শহরগুলোতে মেলা হবে এক দিন।
আগামী ২৩ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ মেলা হবে। চট্টগ্রামে ২৩ জুন এবং রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশালে ২৪ জুন ওই মেলা হবে।
ঢাকার বাইরে স্বর্ণমেলা উদ্বোধন ও দেখভালের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর-শুল্ক বিভাগের সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) কালিপদ হালদার, খুলনায় সদস্য (কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবা) মো. আলমগীর হোসেন, রাজশাহীতে সদস্য (ট্যাক্সেস লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) হাফিজ আহমেদ মুর্শেদ, রংপুরে সদস্য (কর জরিপ ও পরিদর্শন) মো. মেফতাহ উদ্দিন খান, ময়মনসিংহে সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেটে সদস্য (মূসক নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া এবং বরিশালে সদস্য (মূসক নীতি) আব্দুল মান্নান শিকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে মেলায় উপস্থিত থাকবেন।
এই মেলায় অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ থাকছে। মেলায় প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে বৈধ করা যাবে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ১ হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ দেয়।
২৮ মে এনবিআরের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বর্ণ বৈধ করতে প্রতি ভরি সোনা ও সোনার অলঙ্কারে ১ হাজার টাকা, প্রতি ক্যারেট কাট ও পোলিশড ডায়মন্ডে ৬ হাজার টাকা এবং প্রতি ভরি রুপায় ৫০ টাকা আয়কর দিতে হবে। এই সুযোগ ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে ব্যবসায়ীকে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিতে হবে এবং রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
এ বিষয়ে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, স্বর্ণ আমদানি এখন বৈধ করা হয়েছে। ফলে এ ব্যবসাটিও এখন বৈধ স্বর্ণে চলতে পারবে। যে কারণে স্বর্ণমেলা আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর সোনা নীতিমালা অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে ব্যাগেজ রুলের আওতায় শুল্ক দিয়ে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।