খেলা ডেস্ক
এ বারের বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বর জায়গার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। অধিনায়ক মাশরফি মর্তুজ়া তার দলের এই নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের আবেদন মেনে নিয়েছিলেন। সাকিবের যুক্তি ছিল, বিশ্বকাপে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চান তিনি।
সাকিব বলছিলেন, ‘‘তিন নম্বরে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম এই কারণেই যে, তা হলে খেলার সুযোগ অনেকটা বেশি পাব। এর আগে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামতাম। তখন বেশির ভাগ সময়ে ব্যাট করতে নামতাম ৩০ ওভারের পরে। যার ফলে আমার অসুবিধাই হতো।’’ সোমবার সমারসেটের মাঠ টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩২১ রান তাড়া করতে নেমে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শতরানটি পেয়ে গেলেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের খেলা বৃষ্টিতে শেষ হয়েছিল অমীমাংসিতভাবে। তার আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২১ রান করেছিলেন সাকিব। আর এ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে করলেন ৯৯ বলে অপরাজিত ১২৪ রান। এ ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সাকিব করেছিলেন ৭৫ রান। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও তিনি করেন ৬৪ রান। ফলে চার ইনিংসে এ পর্যন্ত সাকিবের রান দাঁড়াল ৩৮৪। এ বারের বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের এই ক্রিকেটারের। তার পিছনে রয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ (৩৪৩), রোহিত শর্মা (৩১৯) ও ডেভিড ওয়ার্নার (২৮১)।
ম্যাচের পরেই বাংলাদেশকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা সাকিবের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘উইকেটে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে জিতিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আনন্দই আলাদা। দারুণ লাগছে। প্রথম ইনিংসের পরে আমাদের মাথায় ছিল, এই পিচে ঠান্ডা মাথায় যদি ব্যাট করতে পারি, তা হলে আমরা জিতেও যেতে পারি। সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে।’’ এর পরেই নিজের এই ব্যাটিং সাফল্যের রহস্য সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘‘গত দেড় মাস ধরে নিজের ব্যাটিং নিয়ে অসম্ভব খেটেছি। এখন সেই পরিশ্রমের ফল মিলছে।’’
এ দিন দ্বিতীয় শতরান করার পরে একই সঙ্গে অনেক নজির গড়লেন সাকিব। এ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শতরানের ফলে ওয়ান ডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে ছ’হাজার রান পূর্ণ করলেন তিনি। ক্রিকেট জীবনে এটি তার নবম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি।