গাজীপুর প্রতিনিধি : ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন খালে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা। এতে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই এলাকা পার হতে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের দুইপাশে দিনের পর দিন বর্জ্য ফেলা হলেও সংশ্লিষ্টরা তা সরাতে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুইপাশে “এই জায়গায় ময়লা ফেলা সম্পূর্ণ নিষেধ। ময়লা ফেললে ১০ হাজার টাকা জরিমানা; নির্দেশক্রমে পৌর কর্তৃপক্ষ” লেখা সাইনবোর্ড লাগিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ বেলা সাড়ে ১১টায় পৌরসভার নির্ধারিত ভ্যানে করে এখানে ময়লা ফেলতে দেখা গেছে। ভ্যানচালকের নাম জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা বলতে চাননি। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘আমার নাম লেইক্কা কী করবেন? আমাকে কইছে, এহানে ফেলতে। তাই আমি ফালাইতেছি।’ কে বলছে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পৌরসভার স্যারেরাই বলছে, এহানে ময়লা ফালাইতাম।’.
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুইপাশে “এই জায়গায় ময়লা ফেলা সম্পূর্ণ নিষেধ। ময়লা ফেললে ১০ হাজার টাকা জরিমানা; নির্দেশক্রমে পৌর কর্তৃপক্ষ” লেখা সাইনবোর্ড লাগিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ বেলা সাড়ে ১১টায় পৌরসভার নির্ধারিত ভ্যানে করে এখানে ময়লা ফেলতে দেখা গেছে। ভ্যানচালকের নাম জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা বলতে চাননি। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘আমার নাম লেইক্কা কী করবেন? আমাকে কইছে, এহানে ফেলতে। তাই আমি ফালাইতেছি।’ কে বলছে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পৌরসভার স্যারেরাই বলছে, এহানে ময়লা ফালাইতাম।’.
স্থানীয়রা জানান, এ মহাসড়ক দিয়ে দিন-রাত শত শত যানবাহন চলাচল করে। ওইসব যানবাহনের যাত্রী ও এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করেন। মহাসড়কের ওই স্থান অতিক্রম করার সময় অনেক যাত্রী বমি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেই যেখানে আইন অমান্য করছে, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে আইন মেনে চলবে? এ ছাড়া, শ্রীপুর পৌরসভা কতটুকু শ্রী নিয়ে আছে, এর প্রবেশদ্বার দেখলেই সহজে বোঝা যায়।’
চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের বাসচালক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কের এ স্থানে আসলেই আর সামনে যেতে মন চায় না। ১০০ মিটার সড়ক পার হতে অনেক কষ্ট হয়। উৎকট দুর্গন্ধ। বমি চলে আসে। এরকম অবস্থা অনেক দিন থেকে চলছে।’
মোহাম্মদ আল-আমীন। তিনি জৈনা বাজার এলাকার একটি বেসরাকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাব শাখার ব্যবস্থাপক। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন গাজীপুর থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। কিন্তু সড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি অংশে এলে ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধে নাক চেপে চালতে হয়। অন্য যাত্রীরাও নাক-মুখ চেপে চালককে দ্রুত গাড়ি চালাতে তাড়া দেন।’
শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক আমজাদ হোসেন জানান, মহাসড়কের এ স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কোনও কোনও সময় ময়লা সড়কে ফেলে রাখা হয়। এতে সড়কের প্রশস্ততা কমে যায়। ময়লা পচে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে থাকে।
শ্রীপুর পৌরসভার পরিদর্শক (কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর) জহির রায়হান বলেন, ‘শ্রীপুর পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নেই। আমরা মহাসড়কের পাশ থেকে নিয়মিতই ময়লা পরিষ্কার করে থাকি।’ সাইনবোর্ডের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পৌরসভার বাইরের কেউ এখানে ময়লা ফেললে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামছুল আরেফীন বলেন, ‘একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। দুর্গন্ধে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। আশা করছি, মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন বলেন, ‘গত ১১ জুন জেলা প্রশাসকের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় এ বিষয় উপস্থাপন করা হয়। পৌরসভা বিনা অনুমতিতে আমাদের রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে। এতে আমরা ভীষণ বেকায়দায় পড়েছি। রাস্তার অর্ধেক অংশে ময়লা ফেলায় ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা পৌরসভাকে জানিয়েছি এবং জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি একাধিকবার তুলেছি।’ শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেই যেখানে আইন অমান্য করছে, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে আইন মেনে চলবে? এ ছাড়া, শ্রীপুর পৌরসভা কতটুকু শ্রী নিয়ে আছে, এর প্রবেশদ্বার দেখলেই সহজে বোঝা যায়।’
চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের বাসচালক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কের এ স্থানে আসলেই আর সামনে যেতে মন চায় না। ১০০ মিটার সড়ক পার হতে অনেক কষ্ট হয়। উৎকট দুর্গন্ধ। বমি চলে আসে। এরকম অবস্থা অনেক দিন থেকে চলছে।’
মোহাম্মদ আল-আমীন। তিনি জৈনা বাজার এলাকার একটি বেসরাকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাব শাখার ব্যবস্থাপক। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন গাজীপুর থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। কিন্তু সড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি অংশে এলে ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধে নাক চেপে চালতে হয়। অন্য যাত্রীরাও নাক-মুখ চেপে চালককে দ্রুত গাড়ি চালাতে তাড়া দেন।’
শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক আমজাদ হোসেন জানান, মহাসড়কের এ স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কোনও কোনও সময় ময়লা সড়কে ফেলে রাখা হয়। এতে সড়কের প্রশস্ততা কমে যায়। ময়লা পচে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে থাকে।
শ্রীপুর পৌরসভার পরিদর্শক (কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর) জহির রায়হান বলেন, ‘শ্রীপুর পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নেই। আমরা মহাসড়কের পাশ থেকে নিয়মিতই ময়লা পরিষ্কার করে থাকি।’ সাইনবোর্ডের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পৌরসভার বাইরের কেউ এখানে ময়লা ফেললে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামছুল আরেফীন বলেন, ‘একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। দুর্গন্ধে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। আশা করছি, মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন বলেন, ‘গত ১১ জুন জেলা প্রশাসকের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় এ বিষয় উপস্থাপন করা হয়। পৌরসভা বিনা অনুমতিতে আমাদের রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে। এতে আমরা ভীষণ বেকায়দায় পড়েছি। রাস্তার অর্ধেক অংশে ময়লা ফেলায় ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা পৌরসভাকে জানিয়েছি এবং জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি একাধিকবার তুলেছি।’ শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।