দেশজনতা অনলাইন : আর মাত্র ৪ দিন বাদেই পর্দা উঠছে বিশ্বকাপের। সেই মহারণে অংশ নিতে সবকটি দল এখন কার্ডিফে। ক্রিকেটবিশ্লেষকদের চোখ এখন প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর ওপর।
এমন সময়ে এসে কোনো কোনো দলের মারকুটে ক্রিকেটাররা ইনজুরির কবলে পড়ছেন। চোটে পড়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগান। প্রস্তুতি ম্যাচে চোট আক্রান্ত হয়েছেন লংকান ওপেনার অভিষেক ফার্নান্ডো। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। তবে চোট বিষয়ে বাংলাদেশ দল নিয়ে সুখবর দিলেন রুবেল হোসেন। তিনি বললেন, দলে এ মুহূর্তে কারও চোট সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, সাকিব ভাই এখন পুরোপুরি ফিট। তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। বোলিং, ফিল্ডিং, সবকিছুই ঠিকভাবে করতে পারছেন। আমার মনে হয় না, টিমে এখন কারও ইনজুরি আছে।’
এ কথা বলার আগে নিজের ইনজুরির কথা জানান ডানহাতি এই পেসার। সদ্য ইনজুরি কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে মাত্র একটি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। তাই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তার চোট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন নির্বাচকমণ্ডলী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তদের আশ্বস্ত করে রুবেল বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আমি এখন সম্পূর্ণ ফিট। লাস্ট ৪-৫টা সেশনে আমি আমার গতি ঠিক রেখে বোলিং করেছি। রানিং লাইনআপেও সমস্যা হয়নি কোনো।’
এদিকে বিশ্বকাপের আগে সাকিব আল হাসান চোট সেরে উঠবেন বলে জানা গেলেও তা কতটা সে বিষয়ে দুশ্চিন্তা লেগেই ছিল দেশবাসীর মনে।
বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের আগে সাইড স্ট্রেইনে ছিটকে পড়েন। ফলে তাকে ছাড়াই ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামেন মাশরাফি। তবে রুবেলের এমন বক্তব্যের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এদিকে কাঁধের সমস্যায় দলের খণ্ডকালীন বোলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বল হাতে দেখা যাচ্ছিল না অনেকদিন। রুবেলের সেই সুখবরের প্রমাণ মিলল কার্ডিফে দলের অনুসরণে।
অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহকে টুকটাক বোলিং করতে দেখা গেছে। সাকিবও ব্যাটে-বলে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন। অনুশীলনে ঘাম ঝড়িয়েছেন রুবেল নিজেও।
শুধু ফিট থাকলেই চলবে না, মাঠে পারফর্মও করতে হবে জানিয়ে রুবেল বলেন, ‘এটা ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। তাই নিজেকে প্রমাণের সুযোগ এখানেই। বিষয়টি যদিও খুব কঠিন তবে আমাকে যদি খেলার সুযোগ দেয়, তবে অবশ্যই চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেয়ার। ’
ইংল্যান্ডের উইকেট যে, বোলিং সহায়ক নয়, ব্যাটিং বান্ধব তা ভালোই জানা রুবেলের।
সেভাবেই পরিকল্পনা করে এগুচ্ছেন তিনি। তিনি জানালেন, ‘এখানে অনেক রান হয়। এই ধরনের কন্ডিশনে ম্যাচ জিততে হলে পেস বোলারদের ভালো করতেই হবে। তাদের ওপরই ম্যাচটা বেশি নির্ভরশীল। তাই আমার মূল লক্ষ্য কিভাবে কম রান দেব কিংবা উইকেট তুলে নেব।
এই ধরনের কন্ডিশনে নতুন বলে, মিডল ওভারে বা ডেথে কিভাবে বোলিং করতে হবে সেটা নিয়ে হার্ডওয়ার্ক করছেন বলে জানান এই ডানহাতি পেসার।