নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলা চালিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। আজ সোমবার পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলার ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের এক বছর পর গতকাল বিকেলে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না হওয়ায় নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। কমিটি ঘোষণার পর যাঁরা প্রত্যাশিত পদ পাননি এবং কমিটিতে জায়গা পাননি, তাঁদের অনেকের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এল এ ঘটনার মধ্য দিয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকেলে ৬০ থেকে ৭০ জন পদবঞ্চিত নেতা–কর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। সন্ধ্যায় তাঁরা মিছিল নিয়ে মধুর ক্যানটিনে যান সংবাদ সম্মেলন করতে। তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অছাত্র, ছাত্রদল, বিবাহিত ও বিতর্কিতদের স্থান দেওয়া ও রাজপথের কর্মীদের বঞ্চিত করার প্রতিবাদে’ সংবাদ সম্মেলন। আয়োজক ছাত্রলীগের রাজপথের কর্মীবৃন্দ। তাঁরা যে টেবিলে সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেন, তার পাশের টেবিলে অবস্থান নেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারী নেতা–কর্মীরা। সেখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
পদবঞ্চিতরা সংবাদ সম্মেলন শুরু করার একপর্যায়ে একজন গিয়ে তাঁদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। ডাকসুর কমন রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক লিপি আকতার এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাঁকে চেয়ার ছুড়ে মারা হয়। কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা এগিয়ে গেলে তাঁকেও লাঞ্চিত করা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলন করতে আসা নেতা–কর্মীদের ওপর অন্য পক্ষের নেতা–কর্মীরা হামলা চালান। গত কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা রাকিব হোসেন, সাইফ বাবুসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়। হামলার ঘটনায় লিপি আক্তার, তিলোত্তমা শিকদার (নতুন কমিটির উপসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক), ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমদসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন।