শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক:
ভারতীয় ঔপন্যাসিক অরুন্ধতী রায় এর অপেক্ষমাণ দ্বিতীয় উপন্যাস মঙ্গলবার বিকেলে বাজারে আসে। তার পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম বই ‘দ্য গড অব স্মল থিংস’ পুরস্কৃত হওয়ার পর থেকে তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেন এবং স্পষ্টভাষী হিসেবে ভারতীয় মিডিয়ায় নিজের কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ১৯৯৭ সালে মর্যাদাপূর্ণ বুকর পুরস্কার লাভ করেন। বইটির প্রায় ৪ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় এবং সাহিত্য জগতে তরুণ লেখকদের কাছে তিনি তারকা হিসেবে খ্যাতি পান। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি বাস্তব তথ্যভিত্তিক সাহিত্য, দারিদ্র্য, বিশ্বায়নের দ্বন্দ্ব এবং কাশ্মির বিরোধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন; যে ব্যাপারগুলো ভারতীয় শাসকশ্রেণির দ্বারা সমালোচিত হয়।তার কাজের প্রচারাভিযান প্রতিষ্ঠিত অনেক ভারতীয় সমালোচনা করেন এবং তার স্পষ্ট ছাপ তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস’- এ রয়েছে; যা তিনি ১০ বছর ধরে লিখেছেন।‘পেঙ্গুইন’ নামের উপন্যাসটির প্রকাশক বলেছেন, পুরনো দিল্লির কাছাকাছি এলাকার নতুন কিছু নগরী, কাশ্মির সংকট এবং মধ্য ভারতের জঙ্গল এলাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মা্ওবাদীরা বিদ্রোহ করছে এই ব্যাপারগুলো পাঠকরা ভালো গ্রহণ করছে।
গত কয়েক সপ্তাহ আগে দ্য হিন্দু ডেইলি’তে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে রায় বলেন, যখন আমি রাজনৈতিক প্রবন্ধ লিখছিলাম তখন প্রত্যেকটি সময় আপনি চেয়েছেন যে কোনো ব্যাপারে খোলা-মেলা কথা বলুক। উপন্যাস কিন্তু তার সময় এবং তার স্তর অবস্থা বোঝে… কোথায় এবং কীভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে এটা ঠিক সেরকম মানবাধিকার প্রতিবেদন নয়। আপনি কীভাবে মনস্তাত্বিক ব্যাপারগুলোর ব্যাখ্যা করবেন; উপন্যাসে তার বাহিরে নয়।ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি বিশেষভাবে তার ব্যাপারে মারাত্মক সমালোচনা করেন। তিনি একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ২০০২ সালে গুজরাটে মারাত্মক মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গায় বিচারের জন্য ডেকেছিলেন, যখন তিনি সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ