খেলা ডেস্ক
দুইবার করে এগিয়ে গিয়ে ব্যবধান ধরে রাখতে পারছিল না লিভারপুল। পিছু ছাড়ছিল না নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। শেষ দিকে পার্থক্য গড়ে দিলেন দিভোক ওরিগি। তার গোলে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে ফেরার পাশাপাশি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের আশাও ধরে রাখল অল রেডরা।
শনিবার রাতে নিউক্যাসেলের মাঠে ম্যাচটিতে ৩-২ গোলের জয় পায় লিভারপুল। দলের জয়ে একটি করে গোল করে অবদান রাখেন ভার্জিল ফন ডাইক, মোহামেদ সালাহ ও ওরিগি। এই জয়ে ৩৭ ম্যাচে ২৯ জয় ও সাত ড্রয়ে ৯৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে লিভারপুল। এক ম্যাচ কম খেলে ৯২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটেই লিভারপুলকে এগিয়ে নেন ফন ডাইক। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ডের কর্নারে ডি-বক্সের মাঝামাঝি থেকে হেডে জাল খুঁজে নেন ডাচ এই সেন্টার-ব্যাক।
ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি অতিথি দল। সাত মিনিট পরই সমতা ফেরান নিউক্যাসেলের ক্রিস্টিয়ান অ্যাটসু। খুব কাছ থেকে বাঁ পায়ের শটে জালে বল জড়ান এই উইঙ্গার। ২৮তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় লিভারপুল। আলেক্সান্ডার-আরনল্ডের ক্রসে সরাসরি শটে গোল করেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড সালাহ। তার এই গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় লিভারপুল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাতেও ছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের আধিপত্য। এর মধ্যে সালাহ, সলোমন রনডন, ডানিয়েল স্টারেজ বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেননি। ৫৪তম মিনিটের কর্নার পায় নিউক্যাসেল। কর্নার শটটি হেডে রুখে গোলপোস্ট অক্ষত রাখতে চেয়েছিলেন লিভারপুলের ডাচ মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো ভিনালডাম। কিন্তু বল চলে যায় স্বাগতিক দলের হাভিয়েরের কাছে। হেড করেই বল বাড়ান রনডনকে। তার ক্ষীপ্র শট জড়ায় লিভারপুলের জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেন ওরিগি। জারদান শাকিরির ক্রসে বল পেয়ে হেডে গোল করেন আক্রমণভাগের এই খেলোয়াড়। পুরো তিন পয়েন্ট পাওয়ার তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
লিভারপুলের একাদশে এদিনও ছিলেন না রবার্তো ফিরমিনো। নিউক্যাসেল গোলরক্ষকের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান সালাহ। পরে ম্যাচের ২০ মিনিট বাকি থাকতে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। তার জায়গায় নামা অরিগির হাতেই পরে লেখা হয়েছে ম্যাচের ফল।